পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের পেটে সরকার তিনবার লাথি মেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, একবার হচ্ছে রিজার্ভ সঙ্কটের ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন করে। দ্বিতীয় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বেশি মূল্যে আমদানি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে। তৃতীয় তেলের দাম বাড়ার কারণে এক একটি দ্রব্য মূল্যের দাম তিন চার বার করে বেড়েছে। এভাবে তিনবার মানুষের পেটে লাথি মারা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির (বিএসপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সব সেক্টরে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালনি এ দুটি সেক্টর হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। সব সেক্টরেই দুর্নীতি আছে, তবে এই দুই সেক্টর গোপন দেখে সাধারণ মানুষ জানে না যে, এত বড় দুর্নীতির আখড়া। তিনি বলেন, আমি যেহেতু অয়েল সেক্টরে চাকরি করেছিলাম। অয়েল সেক্টরে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা আছে আমার। অনেক পরিচিত লোক থাকায় আমি দুর্নীতির অনেক খবর পাই।
জিএম কাদের বলেন, এলএনজি দুটি কারণে সরকার করেছে। এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্যাপাসিটি ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রতিদিন। তবে এখন তারা চালাচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রতিদিন। কারণ এখন তাদের গ্যাস নেই। ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে তারা প্রতিটি ইউনিটকে প্রায় আড়াই লাখ ডলার প্রতিদিন দিচ্ছে। তারপর তারা আরো দুটি ফ্লোটিং এলেনজি ইউনিট আনার চেষ্টা চালাচ্ছে, যেগুলো অপরিকল্পিত। প্রতিদিন এরকম লাখ লাখ ডলার আমরা দিচ্ছি দুয়েটি ফার্মকে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে টাকার অভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সেচের জন্য পানি না দিতে পারলে খাদ্য সঙ্কট হবে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, টাকার জন্য সরকার বলছে এক থেকে দুই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ দেবে না। তবে আমাদের নির্বাচনী এলাকা ও গ্রামগঞ্জ থেকে জানতে পারছি সেখানে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সামনের দিনে সেচের জন্য কী হবে আমার তা জানা নেই। বিদ্যুতের অভাবে সেচের জন্য পানি না দিতে পারলে খাদ্য উৎপাদন কম হবে।
দেশে ত্রিভুজ নীতি চলছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাবসার নামে আমলাদের সহযোগিতায় লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বর্তমানে। দূুর্নীতির কারণে কোনো ভালো উদ্যোগ নিলে তা সফল হচ্ছে না। আমরা অনেক দিন ধরে দাবি করছিলাম রেশন কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেন। তবে এখন শুনছি দুর্নীতির কারণে দলীয় লোক; যাদের টাকা-পয়সা আছে তাদের লিস্ট করে টিসিবির কার্ড দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাদের টিসিবির কার্ড পাওয়া দরকার, তারা পাচ্ছে না। দেশের জনগণ এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার আচার্য প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।