নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মুদ্রার ভিন্ন পিঠ কত দ্রুতই না দেখে ফেললেন স্টোকস-ম্যাককালাম। নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট উপহার দিয়ে টানা ৪ টেস্ট জিতে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিল এই জুটি। গণমাধ্যম ‘বাজবল’ নামকরণ করেছিল এই আক্রমনাত্বক ধরণকে। তবে গত সপ্তাহে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বলিংয়ের সামনে হুমড়ি খেয়ে পরে ইংলিশদের ব্যাটিং। আড়াই দিনে ম্যাচ হেরে, এখন সমালোচনার মুখে থ্রি লায়ন্সরা। আর তাদের দিকে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার তীর এসেছে স্বদেশের মিডিয়া থেকেই। একই সাথে দেশটির বহু সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকও প্রশ্ন তুলেছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট নব যুগের ক্রিকেট স্টাইল নিয়ে। এই সবকিছুর মাঝে আজ থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রোটিয়াদের কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ছে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ১৩ টেস্ট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেবল ৪ ম্যাচ (লর্ডস টেস্ট সহ) হেরেছে ত্রি লায়ন্সরা। এমনকি চলমান ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পরও কাগজে কলমে বহু এগিয়ে স্বাগতিকরা। তবে লর্ডস টেস্টে রাবাদা-নর্কিয়াদের কাছে হতশ্রীভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায় মানুষিকভাবে কতটুকু প্রস্তুত ইংল্যান্ড দল তা বলা মুশকিল। এই ম্যাচে পেসার ম্যাথেউ পটসের বদলে দীর্ঘ ৭ মাস পর একাদশে ফিরেছেন ওলি রবিনসন।
সিরিজ শুরুর আগে প্রোটিয়া কাপ্তান ডিন এলগার ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্বক ক্রিকেট নিয়ে খোঁচা দেন। তবে সেটাতো মনস্তাত্তিক লড়াই মাত্র। তবে ইংলিশ মিডিয়া আর ক্রিকেট বিশ্লেষকরা সামনে নিয়ে আসছেন চুলচেরা সব বিশ্লেষণ। এদিকে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মার্ক রামপ্রকাশও ‘বাজবল’ ক্রিকেটকে একহাত নিলেন। তার মতে আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে নাকি তার দেশের ক্রিকেটাররা ভুলে যাচ্ছেন পরিস্থিতির কথা, ‘লর্ডসে গত সপ্তাহে স্টোকস ও ম্যাককালাম প্রতিপক্ষ বা ম্যাচ পরিস্থিতি খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে কেবল অতি-আক্রমনাত্মক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল এবং এটি টেস্ট-ম্যাচ ব্যাটিংয়ের ঐতিহাসিক পদ্ধতির বিরুদ্ধে যায়।‘ ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২ টেস্ট খেলা এই ব্যাটসম্যান উপমা দিয়ে যোগ করেন,’ এই ধরনে অতি আক্রমণাত্বক ক্রিকেট অনেকটা ফার্স্ট ফুডের মত, যাতে অনেক পুষ্টিগুণ ও উপাদানের অভাব রয়েছে।‘ রামপ্রকাশের বিশ্বাস অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা আক্রমনাত্মক ক্রিকেটে সহজে মানিয়ে নিলেও তরুনরা ধুকছে এই স্টাইলে, ‘রুট সর্বদা রানের তালাশে থাকে, খুব ব্যস্ত ফ্যাশনে খেলেছেন, আর এটিকে খুব উঁচুমানের দক্ষতার সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের আগ্রাসী ব্যাটিংটা রুট, জনি বেয়ারস্টো বা স্টোকসের জন্য ভাল, কারণ তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়দের। কিন্তু অলি পোপ, অ্যালেক্স লিস এবং জ্যাক ক্রাওলির আন্তর্জতিকে ভুরি ভুরি রান নেই। আর তাই এই পদ্ধতি তাদের জন্য কঠিন হতে পারে।‘
এদিকে এতসব বিশ্লেষণে না গিয়ে বেন স্টোকস কথা বললেন কেবল একাদশ ও ম্যাচ নিয়ে। ইংলিশ কাপ্তানের দাবি ম্যানচেস্টারের পিচ পেস বোলিংয়ের জন্য আরও উপযোগী হবে,’আমরা মনে করি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের উইকেট অন্যান্য মাঠের তুলনায় কিছুটা দ্রুত। এই পিচ স্পষ্টতই অনেক বেশি বাউন্স দেয়।‘ গত জানুয়ারিতে অ্যাসেজের লাস্ট ম্যাচ খেলার পর থেকে ফিটনেস সহ নানা ঝামেলায় জাতীয় দল থেকে দূরে ছিলেন রবিনসন। ওল্ড ট্রাফোর্ডের জন্য আলাদা পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ২৩ বছর বয়সী রবিনসনের অন্তর্ভুক্তি,’ আমরা সেই দলটিই বাছাই করেছি, যে দল নিয়ে এই মাঠে টেস্ট জিতে সম্ভব বলে মনি করি। আমাদের স্কোয়াডের অন্যান্য বোলারদের তুলনায় অলি (রবিনসন) বাড়তি বাউন্স পায়। এটাই আসলে তার মূল অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি।‘
স্টোকসের কাঁধে ইংল্যান্ডের সাদা পোষাকের দায়িতে আসার পর থেকেই তিনি দারুণভাবে সামলেছেন মাঠ ও মাঠের বাহিরের সবকিছু। তবে ম্যানচেস্টারে দক্ষিণ আফ্রিকারক্ষুরধার বোলিংয়ের পাশাপাশি দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মানুষদের সমালোচনার উত্তরটাও স্টোকসের দিতে হবে ব্যাটে বলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।