Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি পেলেন ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ১০৮ এবং ১১৮ নং আসন থেকে পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের মনোনয়নপত্র অনুমোদন করেছে এবং তাকে উভয় আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল আসন নং-১১৮ থেকে ইমরান খানের কাগজপত্রের অনুমোদনের বিরুদ্ধে চগখ-ঘ-এর আপিল প্রত্যাখ্যান করেছে, ঘঅ-১০৮ ফয়সালাবাদ সংক্রান্ত রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে জাতীয় পরিষদ-১১৮ নানকানা থেকে ইমরান খানের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির সময় আপিলকারী মুসলিম লীগ-এন প্রার্থী শাজরা মনসাবের আইনজীবী হাজির হন এবং সহযোগী আইনজীবী জানান, ইমরান খানের আইনজীবী ব্যারিস্টার আলী জাফর পরে হাজির হবেন।

বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ মন্তব্য করেছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, হলফনামা শপথ কমিশনারের দ্বারা সত্যায়িত না হওয়ার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না, এটি একটি ত্রুটি যা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আপত্তি জানালে সংশোধন করা যেতে পারে।
বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ জানতে চাইলেন, হলফনামায় শপথ কমিশনার নিশ্চিতকরণ পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনো ভিত্তি বলবেন?
আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী দাখিল করেছেন যে, হলফনামা সত্যায়িত না করার ত্রুটি দূর করা যাবে না।
আইনজীবী-আবেদনকারী বলেন, পোশাকের মূল্যবান জিনিসপত্র এফবিআর রিটার্নে ঘোষণা করা হয়নি, পোশাকের জিনিসপত্র ২০২১ সালের ট্যাক্স রিটার্নে লেখা ছিল, ২০২০ ও ২০১৯ সালের রিটার্নে কিছুই লেখা ছিল না।

বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ বলেন যে, এই সময়ের মধ্যে আলমারি থেকে মূল্যবান জিনিসগুলো নেওয়া হয়নি এবং ২০১৯ এবং ২০২০ সালে আলমারি থেকে নেওয়া আইটেমগুলোর বিশদ বিবরণ রয়েছে।

আপিলকারীর আইনজীবী বলেন, তোশা খানার জিনিসপত্র না লেখার জন্যও ইমরান খানের হলফনামা বৈধ নয়।
তিনি বলেন, আলমারি থেকে নেওয়া ৫৬ লাখ ৩৩ লাখ টাকার জিনিসপত্র রেকর্ড করা হয়নি।
আপিলকারী বলেন, ইমরান খানের স্ত্রী তোশা খানা থেকে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়েছিলেন তা লেখা হয়নি।

এ ট্রাইব্যুনালের এসব বিষয়ে তদন্ত করা উচিত কিনা তা জানতে চান বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ।
আপিলকারীর আইনজীবী মনসুর উসমান বলেন, না, আমরা তদন্ত চাই না, যদি তোশা খানা থেকে কেনা উপহার বিক্রি হয়, তাহলে ইমরান খানের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকা উচিত।

বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ বলেন, এটাও সম্ভব যে, তিনি এসব উপহার দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রে তা প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই।
আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী দাখিল করেছেন যে দান করা জিনিসটি প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই, তবে এর সত্যতা জানা উচিত।
বিচারপতি শহীদ ওয়াহেদ যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর ইমরান খানের কাগজপত্র অনুমোদনের বিরুদ্ধে পিএমএল-এন-এর আপিল খারিজ করে দেন। সূত্র : জং নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ