মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান (এসবিপি) সোমবার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী দুই মাসের জন্য নীতিগত হার ১৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মুদ্রা নীতিতে জানায় ‘অর্থনৈতিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করতে এবং চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি কমাতে গত সেপ্টেম্বর থেকে নীতিগত হার ক্রমবর্ধমান ৮০০ বেসিস পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে, আমদানি কমাতে সম্প্রতি কিছু অস্থায়ী প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং রাজস্ব একত্রীকরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির উন্নয়নের সাথে সাথে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও মধ্যম মানের হতে শুরু করেছে। এতে করে অর্থনৈতিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে। তাই এ পর্যায়ে হার বৃদ্ধি না করার পক্ষে এসবিপি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, আইএমএফ থেকে ১২০ কোটি ডলার প্রাপ্তি দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে অর্থায়নের পথ আরো সহজ করবে। এসবিপি নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তান ২৩ অর্থবছরে প্রয়োজনের তুলনায় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কাছ থেকে অতিরিক্ত ৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এসবিপি উল্লেখ করেছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে বৃহত্তর কিছু মন্দা পাকিস্তানের জন্য ততটা ক্ষতিকর হবে না। রফতানির কিছু অংশ এবং বৈদেশিক ব্যক্তিগত মুদ্রার প্রবাহ এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশেষ সহায়তা করবে। ফলে এসবিপির মতে, মুদ্রাস্ফীতি এবং চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি উভয়ই কমে আসবে।
জুলাই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমে অর্ধেক হয়ে ২.৭ বিলিয়ন হয়েছে, আমদানি কমেছে প্রতি মাসে ৩৬.৬ শতাংশ এবং বাৎসরিক ১০.৪ শতাংশ। এসবিপি বলেছে, প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি হ্রাস পেয়েছে তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এখনো টেকসই। তাই আগামী মাসগুলোতে এ ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। এসবিপি উল্লেখ করে যে, ২৩ অর্থবছরে-এ পরিকল্পিত রাজস্ব একত্রীকরণ এবং আমদানি কমানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ধরনের পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে বাজারগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ করা, আবাসিক এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যবহার হ্রাস করতে উৎসাহিত করা।
এসবিপি বলেছে, সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো,২৩ অর্থবছর বাজেটে উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ কর রাজস্বের পিছনে প্রাথমিক উদ্বৃত্তের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশের একটি শক্তিশালী আর্থিক একত্রীকরণের পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনা অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং সারা বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি এবং চলতি অ্যাকাউন্টের ঘাটতি কমাতে যথাযথ হবে। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।