গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হাসান সোহেল : নিজস্ব নামে জমি নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রমের যুগ যুগ পার করছে অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিভিন্ন সময়ে আল্টিমেটাম দিলেও সময় শেষ হওয়ার আগেই অদৃশ্য ইশারায় সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে মেডিকেল কলেজগুলো। বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীও বাড়িয়ে দিচ্ছেন সময়। চলতি বছরেই তিনবার জমি নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) সালমা আক্তার জাহান ইনকিলাবকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মেডিকেল কলেজগুলোর নিজস্ব নামে জমি নিবন্ধন ছিলো না। তাই তাদেরকে জমি নিবন্ধনের জন্য বলা হয়েছে। একাধিকবার মেডিকেল কলেজগুলোকে আল্টিমেটাম দিলেও সময় বাড়ানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ট্রাস্টির নামেই এতোদিন চলছিল অনেক মেডিকেল কলেজ। এখন নিজস্ব নামে জমি নেয়ার বিষয়ে মেডিকেল কলেজগুলো কাজ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, পপুলার মেডিকেল কলেজ, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ, শাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজসহ নামী-দামী বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো দীর্ঘদিন থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।
সূত্র জানায়, ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ এবং পপুলার মেডিকেল কলেজকে এ বছরের জুন মাসে জমি নিবন্ধনের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরে মেডিকেল কলেজগুলো জমি নিবন্ধণের সময় বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ জুন আরও ৩ মাস সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যে জমি নিবন্ধন না করলে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু গত অক্টোবরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে জমি নিবন্ধনের সময় আরও এক বছর বাড়িয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, বার বার আল্টিমেটাম সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে বেড়ে যাচ্ছে জমি নিবন্ধনের সময়সীমা। যদিও সময় বাড়ানো হলেও নিজস্ব নামে জমি নিবন্ধনের কোন উদ্যোগ নেই মেডিকেল কলেজগুলোর। এমনকি মন্ত্রণালয়ও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
অথচ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা সংক্রান্ত একসভায় গত ২৯ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সময় বাড়ানোর সময়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই তিন মাসের মধ্যে ৩ মেডিকেল কলেজের নামে জমি নিবন্ধন না করলে সেগুলোতে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। যা এখন কথাতেই সীমাবদ্ধ। এদিকে কোন কারণ ছাড়াই সবধরনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আশিয়ান মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ১৯৮৮ সাল থেকে ধানমন্ডিতে জমি নিবন্ধন ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আরেক প্রতিষ্ঠান উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ২০০৭ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এছাড়া ২০১০ সালে পপুলার মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘদিন থেকে জমি নিবন্ধন ছাড়াই এসব মেডিকেল কলেজ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।