পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, এমন বক্তব্যে প্রতিবেশি বন্ধু দেশ ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য। গতকাল শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতা ও বিশিষ্টজনদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, এখন দেশে চলছে দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। এখন শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন না, এখন মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এখন সৎ মানুষ হলে চাকরি মেলে না, আদর্শবান হলে ব্যবসা করতে পারছেন না। বেঁচে থাকার তাগিদেই এখন দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাচ্ছেন সবাই। দেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ আর ন্যায়পরায়ণতা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পাশাপাশি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার কারণে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে গালাগাল দেয়। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রেখে বর্তমান সরকার সংবিধানে এটি অপরিবর্তনযোগ্য করেছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিবছর দেশ থেকে লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। জবাবদিহির অভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। কেউ দুর্নীতির সমালোচনা করলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী মনে করে। সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে চাইলে সমালোচনা শুনতে হবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে হাস্যকর হিসেবে উড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে সারাবিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যেবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। আবার প্রতিনিধি পছন্দ না হলে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন করার অধিকার চায়। প্রজাতন্ত্র মানে দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের। দেশের মালিকানা সাধারণ মানুষের না থাকলে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে কখনোই দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় পার্টি সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে। ভোটের রাজনীতির জন্য কিছু রাজনৈতিক দল উস্কানি দেয়, আবার ধর্মীয় গোড়ামি আর ব্যাক্তি স্বার্থেও কখনো কখনো বিচ্ছিন্নভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারে মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিম চন্দ্র ভৌমিক, সুব্রত চৌধুরী, জে এল ভৌমিক, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, নকুল চন্দ্র সাহা, সুমন কুমার রায়, দ্বীজমনি গৌরাঙ্গ দাস ব্রক্ষ্মচারী, জাতীয় পার্টির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শংকর পাল, সজন মিশ্র।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।