গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ফাঁস হয়েছে।
অডিওতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘... বেশি চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চারমাস হয়ে গেছে ফাইজলামি শুরু করছিস।’
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) অডিওটি ইনকিলাব প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অডিওতে যার কথা শোনা যাচ্ছে, তা নিজের বলেও স্বীকার করেছেন তামান্না জেসমিন রিভা। ঘটনাটি ঘটেছে ইডেন কলেজের রাজিয়া হলে।
অডিওতে রিভাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার… গেছে। কোন হেডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যাল?’
এসময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ বাসায় গেছে?’ জবাবে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২ (রুম নম্বর)-এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কি… গেছে? বল? আমি কি…… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চারমাস হয়ে গেছে ফাইজলামি শুরু করছিস।’
এসময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকেও গালমন্দ করতে শোনা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস। তোদের লিগ্যাল করাইছে, তাতে আমার …. কি? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামরা দেবে? ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের?’
‘ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে, আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই, এ রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার। একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যেই রুমে বলবো, সেই রুমে যাবি। আমার সঙ্গে হ্যাডাম দেখাইতে আসে!’
ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে ছাত্রলীগ নেত্রী রিভাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রোল করতে চায়, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না। এটুকু সেন্স থাকা উচিত ছিল। রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই।’
তবে অডিও’র বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেন তামান্না জেসমিন রিভা। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমি সারাদিন প্রোগ্রামে ছিলাম। আমি নিজেও অবাক হলাম এগুলা কি হচ্ছে! ওখানে আমি কথা বলিনি। জুনিয়ররা কথা বলছিল।
অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া হলের প্রভোস্ট বলেন, আগামীকাল ফোন দিয়েন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।