Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমানমন্ত্রী হিসেবে নৈতিক দায়িত্ব আমার : মেনন

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাশেদ খান মেনন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন। তবে মন্ত্রী হিসেবে নিজের দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘বিমানমন্ত্রী হিসেবে নৈতিক দায়িত্ব আমার। কিন্তু যে অপারেশনাল বিষয় আছে সেগুলো আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তারপরও বিমানমন্ত্রী হিসেবে হজের সময়ও আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। গতকালও দুঃখ প্রকাশ করেছি। দায়িত্ব নিচ্ছি আমি। সংসদেও সেই কথাই বলব।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন কথাই বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। মন্ত্রী বলেন, বিমানকে ঢেলে সাজানো হবে। এ ব্যাপারে  আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনই বলা যাবে না।
মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আইনের কারণে বিমানকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। এ কারণে সব বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তও নিতে পারছেন না। নিজের এই অক্ষমতার কথা অকপটে স্বীকার করে তিনি বললেন, বিমান পুরোপুরি সরকারি না। আর পুরোপুরি বেসরকারিও না। এটি কোম্পানি আইনে চলে। আর এটি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। পরিচালনা পর্ষদে আমাদের সচিব থাকেন। মিটিং-এ যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় আমরা সেটা সম্পর্কে অবহিত হই। এর বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বুধবার প্রতিষ্ঠানটির ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকৃতরা হলেনÑ প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, প্রকৌশল কর্মকর্তা মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, প্রকৌশল কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান, প্রকৌশল কর্মকর্তা জাকির হোসাইন এবং  টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
তদন্ত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিমান প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রণালয় ও সিভিল এভিয়েশনও তদন্ত করছে। এক মাসের তদন্ত প্রতিবেদন শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের অদক্ষতা আছে। এটির পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তনও জরুরি। বিমানকে শক্তিশালী করার জন্য যা করার, তা-ই করা হবে। তবে এটির জন্য আইনি কিছু বিষয় আছে। সেটির পরিবর্তন দরকার। কারণ এটি প্রাইভেট লিমিটেডের আইনে চলে।’
মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমান কোম্পানি আইনে চললেও এটির মালিক শতভাগ সরকার। তারা চাইলে সবকিছুই করতে পারে। তবে এটা ঠিক যে এটি পরিচালনায় আলাদা বোর্ড রয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রধানমন্ত্রী

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ