Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ মাসে ১ কোটি রেল টিকেট ইস্যু করেছে সহজ-জেভি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২২, ৬:২৬ পিএম

বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং পার্টনার সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি গত ৪ মাসে প্রায় ১ কোটি টিকেট ইস্যু করার মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অনলাইন ও কাউন্টার মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখের অধিক টিকেট নিয়মিত ইস্যু করা হচ্ছে।

চলতি বছরেরর ২৫ মার্চ থেকে রেলের টিকিট ইস‍্যু শুরু করে টিকেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্টার প্যানেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঐদিন ৭৭টি ষ্টেশনের কাউন্টার থেকে একযোগে টিকেট ইস‍্যুর সূচনা করে নতুন এই ভেন্ডর।

এবার ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা দুই ঈদে সহজ জেভি-এর পরিচালনায় ১৬ লাখের অধিক টিকেট ইস্যু করা হয়। পাশাপাশি গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন অফিসিয়াল টিকেটিং ওয়েবসাইট ও রেল সেবা অ্যাপ মিলিয়ে অনলাইনে টিকেটিংয়ের জন্য নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ লাখ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-জেভি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।চুক্তি অনুযায়ী তাদের কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে রেলের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ডেভলপমেন্টের সকল কার্যক্রম শেষ করার কথা। ইতোমধ্যে কাউন্টার প্যানেলসহ রেলের অফিসিয়াল টিকেটিং ওয়েবসাইট ও নতুন রেল সেবা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপ করা হয়েছে এবং গত ৪ মাস যাবৎ নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে সহজ জেভি।

যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ওয়েবসাইট ও রেল সেবা অ্যাপের ন্যাভিগেশন বারে সংযুক্ত করা হয়েছে নানান ধরনের ফিচার। ভ্যারিফাই টিকেট ফিচার থেকে সহজেই টিকেট ভ্যারিফাই করার সুবিধা রাখা রয়েছে। এছাড়া মাই টিকেটস ফিচারের মাধ্যমে ৭ দিন পর্যন্ত পুরাতন ও আসন্ন ট্রিপ ডিটেইলস দেখা যায়। যাত্রীরা প্রয়োজনে মাই অ্যাকাউন্টস ফিচারের মাধ্যমে নিবন্ধনের সময় নিজের দেয়া তথ্য ও পাসওয়ার্ড আপডেট করে নিতে পারবেন।

সহজ-এর জনসংযোগ ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ বলেন, “রেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে আরো উন্নত, স্বয়ংক্রিয় ও অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত ডিজিটাল টিকেটিং সেবা দেয়ার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই সময়ে ডেভেলপমেন্টের পুরো কাজ শেষ হয়ে গেলে যাত্রীরা টিকেট কাটার ক্ষেত্রে এখনকার তুলনায় আরও বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। আগে ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকেট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৮১টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্রেন রয়েছে ৬টি। মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়ে থাকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ