Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তেল আমদানির সম্ভাব্য উৎস অনুসন্ধান করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে সম্ভাব্য উৎস অনুসন্ধান করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল সচিবালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানান।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আজকে নির্দেশনা এসেছে। আমরা অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে যে সম্ভাব্যতা আছে, সেগুলো অবশ্যই অনুসন্ধান করবো। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের যে সক্ষমতা আছে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করার, সেটির সক্ষমতা যদি আমরা করে নিতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরাও আনতে পারবো। তবে সেটি হয়তো সময়সাপেক্ষ। হয়তো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আসবে এবং আমাদের পরিশোধনাগারগুলো উন্নত করার কাজ করবে।

ভারত থেকে তৃতীয় দেশ হিসেবে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে এটি বলা হয়নি। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে কিনা আমি জানি না।
তেল আমদানি করলে কূটনৈতিক সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকে নিচ্ছে। তৃতীয় দেশ হিসেবে অনেকে নেয়। কিন্তু আমি যতদূর শুনেছি পরিশোধনাগারের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। এটি যদি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি, তবে আমাদের পক্ষেও আনা সম্ভব হবে।

কীভাবে অর্থায়ন হবে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সেটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। তেল আমদানি করলে ঝুঁকিতে পড়বো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি এখনও অনেক দূরের বিষয়। সবে আমাদের অনুসন্ধান করার কথাটা আসলো। সুতরাং আমরা অনুসন্ধান করে দেখবো। যদি সে রকম কোনও ঝুঁকি থাকে, তবে অন্য যে বিকল্প সুযোগ আছে সেটি দেখবো।

অন্য কোন কোন দেশ থেকে তেল আনা যাবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ওরাও দিতে প্রস্তুত আছে। কাতারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমরা এলএনজি আমদানি করি। সুতরাং আমাদের বিকল্প অনেক আছে।

ইরান থেকে তেল আমদানি করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি আরেকটি বিকল্প সুযোগ। ইরানের ওপরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর একটি আলোচনা চলছে। যদি এর ফল ইতিবাচক হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুতই তুলে নেওয়া হবে। তখন আরেকটি সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে ইরানের যে তেল এখানে কতটুকু পরিশোধন করা যাবে সেটি দেখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখা নিয়ে ঢাকায় ও সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে আলোচনা হয়েছে। সুইস কর্তৃপক্ষ তথ্য আদান-প্রদান সংক্রান্ত একটি মেকানিজম তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকাকে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা অবশ্যই চুক্তি চাই। কেউ যদি অন্যায়ভাবে দেশ থেকে অর্থ সরিয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব আছে সেগুলো ফিরিয়ে আনার। গত সপ্তাহে বার্নে আলোচনার সময় তারা মেকানিজম তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে একটি মেকানিজম তৈরি করা দরকার, যাতে সুইস ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এটি আপাতত তথ্য আদান-প্রদান সংক্রান্ত। গত সপ্তাহে এ প্রস্তাব এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা যেন না যায়। যা যা করণীয় তা করবো। শুধু সুইজারল্যান্ড নয়, আমরা পানামা পেপারস সম্পর্কে জানি। কেম্যান আইল্যান্ড আছে, ক্যারিবীয় কিছু দ্বীপ আছে যারা ‘সেফ হ্যাভেন’ নামে পরিচিত। ওইসব দেশেও অনেকে অর্থ পাচার করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এটাও শুনেছি যে, যারা প্রবাসে ভালো ব্যবসা করেন, তারাও হয়তো তাদের অর্থ ওখানে রেখেছেন। সুতরাং সব অর্থ অবৈধ পথে গেছে সেটা বলাটাও ঠিক হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ