পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের চুক্তির মেয়াদ আরো দুই বছর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস আগামী অক্টোবর মাসের বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব পদে ত্রিমুখি লড়াই শুরু হয়েছে। জনপ্রশাসনের সচিব বদলী হলে এ পদেও আসছে নতুন মুখ বলে প্রশাসনের একাধিক সচিব ও কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদের তিন বছরের মেয়াদ ১৮ অক্টোবরের শেষ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি আর যাচ্ছেন না। কারণে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আবারো দুই বছরের জন্য একই পদে নিগোগ দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসকে বিশ্বব্যাংকের ওই পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ দিকে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ড. আহমদ কায়কাউস চলে গেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হবেন? তা নিয়ে প্রশাসনে চলছে না আলোচনা ও গুঞ্জন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে যখন আমলাদের ওপর সরকারি নির্ভরতা অনেক তখন মুখ্যসচিব পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা নির্দেশনাগুলো মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। এ কারণেই এই পদটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ড. আহমদ কায়কাউস মুখ্যসচিবের পদটিকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করেছেন এবং তিনি তাঁর কাজের জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। অনেকের প্রশ্ন যে, ড. আহমদ কায়কাউস চলে গেলে তার শূন্যস্থান কি পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন যে, কেউই অপরিহার্য নয়। ড. আহমদ কায়কাউসের আগে যারা ছিলেন তারাও যেমন মুখ্য সচিব হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন, সামনে যারা আসবেন তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কে হতে পারেন, এ নিয়ে সরকারের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। একাধিক সূত্র বলছে মুখ্যসচিব মনোনীত করার এখতিয়ারটি এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বীয় বিবেচনায় যাকে মুখ্যসচিব হিসেবে পছন্দ করবেন তাকে মুখ্যসচিব করা হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সর্বোচ্চ পদ। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়-অনিচ্ছা এখানে শেষ কথা। তবে বিভিন্ন আলোচনায় ৩/৪ জন সচিবের নাম উঠে আসছে। এ ৩/৪ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্য থেকে যেকোনো একজন মুখ্যসচিব হতে পারে বলে জানা গেছে। এছাড়া এদের মধ্যে একজন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পেড়ে পারেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বর্তমান সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি নবম ব্যাচের কর্মকর্তা. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন একজন সরকারী কর্মকর্তা এবং মেধা দক্ষতায় তিনিও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের এক বছর সময় আগে মুখ্যসচিব পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন কাজেই তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার এখানে মুখ্যসচিব হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে অনেকেই মনে করছেন। তিনি আগামী ২০২৩ সালে ৪ জুলাই মাস অবসরে যাবেন। তার আগেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
কবির বিন আনোয়ার একসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবির বিন আনোয়ার ৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা এখনো টিকে আছেন তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম হলেন কবির বিন আনোয়ার। আগামী ২০২৩ সালে জানুয়ারীর ৩ তারিখে অবসরে যাবেন। তবে তাকে কাজেই, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা, এ নিয়েও সংশয় রয়েছে।
কে এম আলী আজম বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা। নভেম্বরে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কাজেই, সিনিয়র হলেও তাকে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব করা হবে কিনা সেটিও একটি প্রশ্ন। অবশ্য এর আগেও মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে ড. কামাল চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তিনি চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ২ তারিখে অবসরে যাবেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএকে বদলী করা হতে পারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। তিনি ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকায় যোগদান করেন। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ২০১১ সালে জেলা প্রশাসক হিসেবে যশোহর জেলায় পদায়িত হোন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যশোর- কে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১১ সালে তিনি ই-এশিয়া পদক প্রাপ্ত হোন। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক (মাঠ প্রশাসনে ই-সেবা বাস্তবায়নে অবদানের জন্য) এবং ২০১৩ সালে আবারও শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক (প্রাথমিক শিক্ষা এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অবদানের জন্য) হিসেবে ভূষিত হন। জনসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তিনি জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন।
তিনি বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা হিসেবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার অর্জন করেন। অতি সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মো.মোস্তাফিজুর রহমান, পিএএ, সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, কে ব্যক্তি শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২০-এ ভূষিত করেছে। বর্তমানে তিনি সরকারের একজন সচিব হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। তবে এগুলো কেবলই আলোচনা মাত্র। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কে হবেন, তা নিশ্চিত করতে পারেন শুধুমাত্র স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। শফিউল আলম এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৮ অক্টোবর। এর পরপরই আহমদ কায়কাউস সেখানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম যোগদান করেছিলেন। তার মেয়াদ ছিল তিন বছরের জন্য। এ বছর ১৮ অক্টোবর তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকার বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ড. আহমদ কায়কাউসকে মনোনীত করা হয়েছে। ড. আহমদ কায়কাউস বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে আছেন। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে তাকে আবার তিন বছরের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।