বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছুদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সৌরভ নামে একজন ছাত্রদলকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, দুপুর ১ টায় ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেইটে ভর্তিচ্ছুদের মাঝে ফুল, কলম ও পানি বিতরণ করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। একই সময়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শুভেচ্ছা মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রদলের উপস্থিতি জানতে পেরে তাদের ধাওয়া করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে তরিকুল ইসলাম সৌরভকে একা পেয়ে মারধর করেন তারা। এছাড়াও আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদল নেতাদের।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে আমাদের কর্মীদের আহত করে। পরে আহতদের হাসপাতালে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রক্টরের কাছে ফোন করেও আমরা তা পাইনি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের একাধিক পদধারী নেতা বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শুভেচ্ছা মিছিল করছিলাম। তাদের কয়েকজনকে হয়তো কিলঘুষি মেরেছে ছেলেপেলেরা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে আসার সংবাদ পেয়ে আমাদের কিছু কর্মী ওইদিকে গেলে তাদের কর্মীরা পালিয়ে যায়।
প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসেছিলো এবং তাদের সঙ্গে একটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে ইবি থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলি। আর ছাত্রদল কর্মী আহত হওয়ার বিষয়টি আমি জানি না।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। একইসাথে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইবি জিয়া পরিষদ। পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে, মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি এবং ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানের জন্য ইবি প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।