Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভেন্টিলেশনে সাপোর্টে সালমান রুশদি, কথা বলতে পারছেন না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ৯:৪১ এএম

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ‘খবর ভালো নয়’ বলে জানিয়েছেন তাঁর এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি। তিনি বলেছেন, রুশদিকে বর্তমানে ভেন্টিলেটর সপোর্টে (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া) রাখা হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছুরিকাঘাতের শিকার হন ৭৫ বছর বয়সী বিশ্বখ্যাত এ লেখক। ঘটনার পরপরই রুশদিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাসপাতালে। হামলাকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন পুলিশ।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শিতৌকা ইনস্টিটিউশনের এক বক্তৃতার অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন সালমান রুশদি। ওই সময় তাঁকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। ঠিক তখনই এক ব্যক্তি বেশ কয়েকবারের বাধা উপেক্ষা করেই মঞ্চে উঠে যান এবং রুশদিকে ছুরিকাঘাত করেন।
রুশদির বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে তাঁর এজেন্ট অ্যান্ড্রু উইলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রুশদির আঘাত গুরুতর। তিনি একটি চোখ হারাতে পারেন। তাঁর বাহুর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে রুশদির লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রুশদির গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হামলার পরপরই তাঁকে হেলিকপ্টারে করে পেনসিলভানিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ থেকে হাদি মাতার নামে ২৪ বছর বয়সী একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্চে সালমান রুশদির সঙ্গে থাকা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হেনরি রিসও মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিস একটি অলাভজনক সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা।
সালমান রুশদিকে তাঁর লেখার জন্য ইরানি নেতৃবৃন্দ হত্যার ঘোষণা দিয়েছে ১৯৮৯ সালে। অবশ্য ইরান পরে এই ঘোষণা তুলে নেয়। সে সময় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা প্রয়াত আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি সালমান রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এ ইসলামের বিরুদ্ধে অবমাননামূলক বিষয় রয়েছে উল্লেখ করে রুশদিকে হত্যা করার জন্য মুসলমানদের আহ্বান জানিয়ে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি ফতোয়া জারি করেন।’
এ লেখকের জন্ম ১৯৪৭ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ১৪টি উপন্যাস লিখেছেন। বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার বুকার পুরস্কারের জন্য তিনি পাঁচবার মনোনয়ন পেয়েছেন। রুশদি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’-এর জন্য ১৯৮১ বুকার পুরস্কার অর্জন করেন। ইরান তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার পর দীর্ঘ ৯ বছর আত্মগোপনে ছিলেন বিশ্বখ্যাত এ লেখক। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ