পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর থেকে রেবা রহমান : শুধু মেরামতের অভাবে দক্ষিণ-পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ জেলা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন টানা পাঁচ বছর ধরে অঁকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে হাসপাতালের চিকিৎসা প্রার্থীরা উন্নত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের বাড়তি টাকা খরচ করে বাইরের ক্লিনিক থেকে ডিজিটাল এক্স-রে করতে হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য সরকার মেশিনটি বৃহত্তর যশোরবাসীর স্বার্থে ২০০৯ সালে যশোর হাসপাতালে প্রদান করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মূল্যবান মেশিটি নষ্ট হচ্ছে। এতে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোর রমরমা ব্যবসারও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ বেড হাসপাতাল যেটি বর্তমানে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতালে সিমেনস কোম্পানির তৈরি উন্নতমানের অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন রয়েছে। যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। হাঁড়ভাঙা কিংবা শরীরের কোথাও আঘাত পাওয়া ব্যক্তির এক্স-রে করার সময় এ মেশিনে সরাসরি ছবি দেখা যায়। এ জন্য মেশিনটিকে ‘ফ্লোস কপি’ এক্স-রে মেশিন বলা হয়ে থাকে। অত্যাধুনিক এ মেশিনে চিকিৎসক রোগীর আঘাত সনাক্ত করার সময় কোনো ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রয়োজন হয় না। ‘ফ্লোস কপি’ মেশিনের সাহায্যে সরাসরি রোগ নির্ণয় করার জন্য, কিন্তু মেশিন অঁকেজো হয়ে পড়ে থাকার কারণে রোগীরা তাদের প্রয়োজনে এক্স-রে করতে পারছেন না। ২০০৯ সালে মেশিনটি হাসপাতালে দেয়ার পর ২০১১ সাল পর্যন্ত দু’বছর এক্স-রে মেশিনটি সচল ছিল। এ সময় প্রচুর রোগী হাসপাতাল থেকে এক্স-রে সুবিধা নিয়েছেন। সরকার ও পেয়েছে আশানুরূপ রাজস্ব। এরপর থেকে এক্স-রে মেশিন আর চলেনি। মেরামতযোগ্য মেশিনটি রহস্যজনক কারণে আদৌ মেরামত করা হচ্ছে না। ফলে সরকারি হাসপাতালে ভালো এক্স-রে করতে না পেরে বাধ্য হয়ে রোগীরা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলে যাচ্ছেন।
সরকারি হাসপাতালে উন্নত এক্স-রে মেশিন না থাকার সুযোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কপাল খুলে যায়। রোগীরা এখন বেসরকারি ক্লিনিকে ভিড় করছেন। এ ব্যাপারে যশোর হাসপাতালের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানালেন, ঢাকার সাথে যোগাযোগ চলছে। অচিরেই মেরামতের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।