নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জ্যামাইকান ট্র্যাকের রানী এলিয়েন থম্পসন হেরাথ এবার বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের পর ২০০ মিটারে সেরাদের সেরা হয়ে নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য এক উচ্চতায়। শনিবার তিনি এই ইভেন্টে গেমসের নতুন রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জয় করেন। বার্মিংহামের আলেকজান্ডার স্টেডিয়ামে মেয়েদের ২০০ মিটারে ২২.০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌঁড় শেষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেনথম্পসন। থম্পসন ট্র্যাকে নামলেই গড়েন নতুন নতুন কীর্তি। জ্যামাইকার প্রথম নারী স্প্রিন্টার হিসেবে অলিম্পিকে ডাবল জয়ের ইতিহাস আগেই গড়েছিলেন। এবার বার্মিংহামে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরা হয়ে গড়লেন আরেক ইতিহাস।
অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমসের দ্রুততম মানবী এই জ্যামাইকানকে সবাই ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রানী বললেও থম্পসনের কাছে প্রিয় ইভেন্ট কিন্তু ২০০ মিটার। এই ইভেন্টে এবার সোনা জিতে তিনি ভেঙ্গেছেন চার বছর আগের রেকর্ডটি। ২০১৮ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে বাহামাসের শন মিলার-উইবো ২২.০৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে যে রেকর্ড গড়েছিলেন, তা ভেঙ্গে থম্পসন হাসির ঝলক দিলেন আলেকজান্ডারের ট্র্যাকে। দৌড় শেষ করে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়েই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন এই অ্যাথলেট। নিজ দেশের পতাকা হাতে শূন্যে ভাসলেন সেরাদের সেরা। গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সঙ্গে ‘হাই ফাইভ’ করলেন। আবেগজড়িত কণ্ঠে থম্পসন বলেন, ‘আমি বার্মিংহামে এসেছিলাম ১০০ মিটারে রেকর্ড গড়তে। কিন্তু তা পারিনি। তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, ২০০ মিটারে কিছু একটা করে দেখাবো। স্বর্ণ জেতার পর এখন আমি বলতে পারি যে, দিনটি আমার জন্য ঐতিহাসিক। শুধু তাই নয় আজকের (শনিবার) দিনটি আমরা স্বাধীনতা দিবস (জ্যামাইকান) উদযাপন করি। তাই দিনটি স্মরণীয় হয়েই থাকবে।’
থম্পসন নিজের চেয়ে ১১ বছরের ছোট রৌপ্য জয়ী ফ্যাবার অফিলি এবং ব্রোঞ্জপদক জেতা ক্রিশ্চিয়ান এমবোমাকে পেছনে ফেলে সেরা হয়েছেন। এতে অনেকেই মনে করছেন থম্পসনের অভিজ্ঞতার কাছে হেরেছেন ফ্যবার ও ক্রিশ্চিয়ান। এর আগে বিশ^ চ্যাম্পিয়নশিপে থম্পসন ভালো করতে না পারলেও নিজের প্রতি তার সব সময়ই আত্মবিশ^াস আছে,‘যখন বিশ^ চ্যাম্পিয়নশিপে আমি খারাপ করেছিলাম, তখন কিন্তু ভেঙ্গে পড়িনি। কারণ আমি জানি সামনে আরও দৌড়ানোর সুযোগ আছে। আমি কখনো হাল ছেড়ে দেইনা। সেই হারকে আমি সিরিয়াসলি নেইনি। সেই হারই আমাকে কমনওয়েলথ গেমসে সেরা হতে সাহায্য করেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।