মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হৃদস্পন্দন থেমে যাবার কয়েক মিনিটের মধ্যে, রক্ত প্রবাহ, অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাবের কারণে একের পর এক জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শরীরের কোষ এবং অঙ্গগুলো ধ্বংস হতে শুরু করে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা একটি পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন যার মাধ্যমে সেই কোষগুলোকে অনেকক্ষণ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
কোষ ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অঙ্গ প্রতিস্থাপন অত্যন্ত সূক্ষ্ম সার্জারি প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়াটিও অনেক কঠিন। প্রথমত, প্রতিস্থাপনের জন্য যত অঙ্গ প্রয়োজন, তত দাতা নেই। এমনকি যদি দাতা খুঁজেও পাওয়া যায়, অনেক সময় রোগীর শরীর পর্যন্ত তা পৌঁছাবার আগেই অঙ্গটির কোষগুলো মরতে থাকে এবং তা নষ্ট হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এর সমাধান তুলে ধরেন। তারা বলেন, ‘অর্গানএক্স’ নামক এক প্রযুক্তির মাধ্যমে অঙ্গকে বেশি সময় ধরে শরীরের বাইরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তারা এই প্রক্রিয়াকে বলেন, কোষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো।
বিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এই গবেষণায় ১০০টি শূকরের ওপর পরীক্ষা করা হয় যে, কোষের গঠনকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে কি না, অথবা ক্ষতি হওয়া কোষকে পুনর্জীবিত করা যাচ্ছে কি না। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শূকরগুলোর অঙ্গ এবং টিস্যুতে একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা কোষ-প্রতিরক্ষামূলক তরল সরবরাহ করা হয়। গবেষকরা দেখতে পান, তাদের মৃত্যুর এক ঘন্টা পরেও কোষের কোন ক্ষতি হয়নি।
গবেষক দলের সদস্য জভোনিমির ভরসেলিয়া বলেন, ‘আমরা যতটা দ্রুত ভাবি কোষ তত দ্রুত মরে না। এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি, যদি ঠিকমত হস্তক্ষেপ করা যায়, তাহলে আমরা কোষকে নির্দেশ দিতে পারি যে, তোমরা মরো না।› তিনি বলেন, পরীক্ষার পর দেখা গেছে, কিছু কোষের কার্যকারিতা পুনরুজ্জীবিত করা গেছে। তবে এখনো এই পরীক্ষা মানবশরীরে করা হয়নি বলে জানান তিনি। তারা বলেন, এটা প্রথম পদক্ষেপ। এখনো আরো বেশ কিছু গবেষণা করতে হবে মানবশরীরে এর প্রয়োগের আগে।
প্রতি মুহূর্তে সারাবিশ্বে লাখ লাখ মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে অন্তত এক লাখের বেশি মানুষ খুব জরুরি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষায় আছেন। জার্মানিতে ২০২১ সালের শেষদিকের একটি হিসেব দেখাচ্ছে, তখন প্রায় নয় হাজার মানুষ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বসে আছেন। নতুন এ পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা সাফল্য পেলে অঙ্গ প্রতিস্থাপন অনেক সহজ হয়ে যাবে। সূত্র : দ্য প্রিন্ট, এবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।