মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়, এমন তথ্য দিচেছ দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান। একবছরে দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় দেড় লাখ মানুষ। তবে সেটি আরও বেশি হতে পারে অন্যান্য সংস্থার হিসাবমতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য বলছে, ভারতে বছরে তিন লাখ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে যা দ্বীপ রাষ্ট্র বার্বাডোসের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। তবে ভারতের বিশাল জনসংখ্যা বলে এতো বেশি দুর্ঘটনা, ব্যাপারটি এমন নয়। চীনেরও জনসংখ্যা ভারতের মতোই কিন্তু দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে ৫৮ হাজার হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রতিবছর। ডব্লিউএইচও-র সূত্র ধরে বিশ্ব ব্যাংক বলছে, প্রকৃতপক্ষে, ভারতে বিশ্বের নিবন্ধিত যানবাহনের মাত্র ১০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। এটিকে নিত্যদিনের গণহত্যা বলা যায়, যেটি জনসম্মুখে ঘটে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে ভারতের রাস্তাগুলো চরম বিপর্যস্ত। চালকরা লেনের চিহ্ন উপেক্ষা করেন। ট্রাফিক লাইট নাম মাত্র কাজ করে। এমনকি পথচারীরাও দ্রুত রাস্তা পারাপার হন। শুধু প্রাইভেট কার নয়, ওভারলোড করা লরি, অটোরিকশা, স্কুটার, এমনকি মোটরসাইকেল চলে একই সড়কে। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়। অনেক শহরের রাস্তায় বিক্রেতারা রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে দোকান-পাট বসান। হাইওয়েতে রাস্তার ভুল দিকে গাড়ি চালানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। এতেই ঘটে বিপত্তি। সড়কে বিশৃংখলা একটি কাঠামোগত সমস্যাকে চিহ্নিত করে। গরীব দেশগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা কম, যা খারাপ রাস্তায় ধীরে ধীরে চলে। ফলে জনসংখ্যার তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম মৃত্যু হয় সেখানে, যদিও নিরাপত্তার মান কম হতে পারে। দুর্ঘটনা কমাতে ধনী দেশগুলো নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক সক্ষমতা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে পারে এবং কঠোর নিয়মের ব্যবস্থা করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর প্রচুর যানবাহন ও কিছু ভাল রাস্তাঘাটও রয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগে মনোযোগ দেয় না। সেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ভারতের সরকার সমস্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে অন্ধ নয়। ২০২০ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অর্ধেক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। ট্রাফিক আইন লংঘনের অভিযোগে জরিমানা গুণতে হবে এবং জেলে যেতে হবে। মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, কম বয়সী কেউ গাড়ি চালালে বা সঠিক নম্বর প্লেট ছাড়াই গাড়ি চালালে অপরাধ বলে গণ্য হবে। হেলমেট ছাড়া স্কুটার বা মোটরসাইকেল চালালে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে। আমেরিকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের মাধব পাই বলেছেন, ‘মৌলিক সমস্যা’ হলো যে অনেক দরিদ্র দেশে রাস্তার নকশা ধনী বিশ্বের আদলে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে গাড়ি এবং লরিগুলোই সড়ক দখলে রাখে। কিন্তু ভারতে মোটরসাইকেল ও স্কুটারের ব্যবহার ৭০ শতাংশ। এসব যানবাহন একটি গাড়ির তুলনায় ৩০ গুণ বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ধ্বংস হতে পারে। তবুও ভারতীয় রাস্তাগুলো দুই চাকার গাড়ির জন্য আলাদা লেন নির্ধারণ করে না। দ্য ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।