বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
জালাল উদ্দিন ওমর : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চলছে। সেখানকার উগ্রপন্থী কিছু বৌদ্ধ বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গা বলে পরিচিত এসব মুসলমানদেরকে নির্যাতন করেই চলেছে। আর সেখানকার সরকার বৌদ্ধদের এসব কর্মকা-কে নীরবে সমর্থন করছে। ফলে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রোহিঙ্গাদেরও ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। সেখানে আজ যা চলছে তা জাতিগত নিধন ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনো ধরনের অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি না করে, সেখানকার মুসলমানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বাঁচার তাগিদে ঘরবাড়ি ছেড়ে, নিজ দেশ ছেড়ে হাজারো রোহিঙ্গা আজ ভিন দেশের রাস্তায় হাঁটছে। কখনো বা নৌকা, কখনো বা ভেলায় চড়ে জীবন বাজি রেখে হাজারো রোহিঙ্গা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে, একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ভিন দেশে প্রবেশের জন্য এসব মানুষেরা কখনো পাড়ি দিচ্ছে সাগরের উত্তাল জলরাশি, কখনো পাড়ি দিচ্ছে পাহাড়ি জঙ্গলের কণ্টকাকীর্ণ পথ আবার কখনো পাড়ি দিচ্ছে সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া। ওরা রোদের গরমে পুড়ছে, বৃষ্টির পানিতে ভিজছে আর রাত্রে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। ভয়ঙ্কর এবং বিপদসংকুল এই যাত্রাপথে ইতোমধ্যেই অনেক রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরাট একটি অংশ আজ উদ্বাস্তু এবং শরণার্থী। যাদের এক সময় অর্থ বিত্ত আভিজাত্য সবই ছিল, তারা আজ তাবুর ঘরে বাস করছে। কারো কারো দিন কাটছে সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নিচে। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই আজ বিপদগ্রস্ত। বেঁচে থাকার মৌলিক কোনো উপাদানই এদের জীবনে বিদ্যমান নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা- কিছুই নেই। এদের জীবনে বিদ্যুৎ, বিনোদন এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নেই। একজনের জায়গায় দশজন বাস করছে। রোহিঙ্গাদের জীবনে আজ সুখ, আনন্দ আর শান্তি বলতে কিছুই নেই। ওদের জীবনে কোনো স্বপ্ন এবং সুন্দর ভবিষ্যতের হাতছানি নেই। প্রাণ আছে বলেই বেঁচে আছে আর কি। মিয়ানমারের উগ্রপন্থী কিছু মানুষের নির্যাতন আজ লাখো রোহিঙ্গার জীবনকে শেষ করে দিয়েছে। এসব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে আজ সবাই ব্যর্থ। জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, আসিয়ান, সার্ক, আফ্রিকান ইউনিয়ন, জি-৭সহ সবাই ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, বৃটেন, ফ্রান্স, চীনও ব্যর্থ। ব্যর্থ পুরো মানবজাতি এবং ব্যর্থ মানবাধিকারের প্রবক্তারা। এরা সবাই আজ নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই ব্যর্থতা পুরো মানবজাতির জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানবতারই লজ্জা। কিন্তু মনে রাখা দরকার, রোহিঙ্গা বলে পরিচিতরাও মানুষ। আমার আপনার মতো বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার ওদেরও রয়েছে। অতএব ওদেরকে একটু বাঁচতে দিন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং তখন এর নাম ছিল বার্মা। আর ১৯৬২ সাল থেকেই সেখানে সেনাবাহিনীর শাসন চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তের পাশর্^বর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে তারা সেখানে বসবাস করছে। প্রায় হাজার বছর আগে রাখিয়াং নামে এক জাতি ইসলাম গ্রহণ করে রোহিঙ্গা নাম নিয়ে মিয়ানমারে বসতি স্থাপন করে। সেই থেকেই তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে আসছে। অথচ মিয়ানমার সরকার এখন রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করছে। ১৯৮২ সালের আগ পর্যন্ত এই রোহিঙ্গারা ভোট দিতে পারত এবং তারা প্রতিনিধি নির্বাচন করে দেশটির সংসদেও পাঠাত। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৮২ সালের ১৫ অক্টোবর “বার্মিজ সিটিজেনশীপ ল” নামে একটি আইন পাশ করে এবং এতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। তখন থেকেই রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। ২০১৪ সালের আদম শুমারিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মিয়ানমার সরকারের ভাষ্য মতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী নয়। ফলে রোহিঙ্গারা এখন একটি রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এরকম নির্যাতিত, অবহেলিত, অধিকারহীন এবং রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী পৃথিবীতে আর একটি ও নেই। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা পৃথিবীতে আর একটি ও নেই। মিয়ানমারের বৌদ্ধদের হাতে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হবার কারণে ইতোমধ্যেই প্রায় অর্ধেক রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দুই দশকের ও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুবপালং এবং টেকনাফের নয়াবাজার শরাণার্থী শিবিরে প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করে এবং তারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করে। এছাড়া উখিয়ার লেদা এবং টেকনাফের টাল মেকশিপ্ট ক্যাম্পেও অনেক রোহিঙ্গা বসবাস করে। বাকিরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেও, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত নির্যাতন বন্ধে তিনি বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, অং সান সুুচি এই ইস্যুতে একেবারই নীরব। তার এই নীরবতা রোহিঙ্গাদের প্রতি চলমান নির্যাতনকে উস্কে দিয়েছে।
যাদেরকে নিয়ে ওপরের কথাগুলো বলেছি, তারা কিন্তু পৃথিবী নামক আমাদেরই গ্রহের বাসিন্দা। তারা এই সভ্য দুনিয়ারই বাসিন্দা, যেখানে আকাশ চুম্বি অট্টালিকা আর বিদ্যুতের জমকালো চমকানিতে চোখ দিশা হারিয়ে ফেলে। যেখানে বিনোদনের জন্য খেলা, নাটক, সিনেমা আর গানের পিছনে বিলিয়ন ডলার খরচ করে। অথচ এই সব বনি আদম আজ সর্বহারা। রোহিঙ্গা বলে পরিচিত এসব মুসলিম জনগোষ্ঠী আমার আপনার মতই রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। তাদের জীবনেও আমাদের মতো চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। সুতরাং সবার মতোই রোহিঙ্গাদেরও মৌলিক অধিকার আছে। প্রত্যেক মানুষেরই কতকগুলো মৌলিক অধিকার থাকে, যা যে কোন দেশের, যে কোন ধর্মের এবং যে কোন নাগরিকের বেলায় সমভাবে প্রযোজ্য। বিশ্বব্যাপী মানুষের এই মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সার্বজনীন মানবাধিকারের নীতিমালা গ্রহণ করে। সেই থেকে ১০ ডিসেম্বর প্রতিটি বছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আর মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য। জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকারের এই ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন উপধারাসহ মোট ৩০টি অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করা হয়। এই ঘোষণাপত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সমান অধিকার, জাতীয়তা লাভের অধিকার, চিন্তা-বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার, সভা সমাবেশ করার অধিকার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশে সরকারে অংশগ্রহণের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের অধিকার, সকলের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং সর্বোপরি শাসনতন্ত্র বা আইন কর্তৃক প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে বিচার বা আদালতের মাধ্যমে তার কার্যকর প্রতিকার লাভের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের এইসব মূলনীতি বিশে^র দেশসমূহ গ্রহণ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর প্রতিটি দেশে বসবাসরত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর এবং প্রতিটি নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার, মত প্রকাশের এবং রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। একজন মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সকল অধিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ও রয়েছে। এখানে ধর্ম, বর্ণ এবং গোত্রীয়ভাবে কাউকে চিহ্নিত করে, তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। যদি করা হয় তাহলে সেটা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমার আর ফেরত নিতে ইচ্ছুক নয়। অপরদিকে এই সব রোহিঙ্গারাও নির্যাতনের ভয়ে মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি নয়। নিজ দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করাটা যেখানে প্রতিটি রাষ্ট্র এবং সরকারের নৈতিক দায়িত্ব, সেখানে মিয়ানমারের সরকার আজ সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদেরকে পাইকারীভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকট রাংলাদেশের জন্য একটি স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গাদেরকে স্থায়ী ভাবে আশ্রয় দেবার মত শক্তি সামর্থ্য আমাদের নেই এ কথা নিরেট সত্য। কিন্তু এর পরও শুধুমাত্র প্রাণে বাঁচানোর জন্য হলেও, বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিতে হবে। কারণ এটা একটা মানবিক বিষয়। এখানে ধর্ম, বর্ণ এবং গোত্র বিবেচনার বিষয় নয়। অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশেই জন্মগ্রহণ করেছেন, বাংলাদেশেই বড় হয়েছেন এবং এদেশেই বিয়েশাদী করে সংসার করছেন। এরা অনেকটাই এদেশের মানুষের সাথে মিশে গেছেন। একথা সত্য যে অনেক রোহিঙ্গা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত হয়েছে। তাদেরকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে শাস্তির আওতায় আনা হউক। কিন্তু শুধুমাত্র এই কারণে রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় প্রদান বন্ধ করা মোটেই উচিত হবে না। কারণ এই রোহিঙ্গাদের জীবনই আজ বিপন্ন। সুতরাং আগে ওদের জীবন বাঁচাতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আর্কষণের জন্যও বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে। আমি জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ সকল বৃহৎ রাষ্ট্রকে মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদেরকে সহযোগিতা করার এবং এই সংকটের একটি স্থায়ী এবং গ্রহণযোগ্য সমাধান করার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। বিশে^ শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে নিয়োজিত এইসব শক্তি এবং রাষ্ট্রকে আজ মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিশেষে একজন মানুষ হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যা এবং নির্যাতন এই মুহূর্তেই চিরতরে বন্ধ করার জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। একই সাথে মিয়ানমারের প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচির প্রতিও আহ্বান জানিয়ে বলছি, আপনি অনুগ্রহ করে রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নিন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত এইসব নির্যাতন কোন সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। কোন বিবেকবান মানুষ এ ধরনের বিবেকহীন কাজ করতে পারে না। আর একটি কথা বলতে চাই, তা হচ্ছে কিছু মানুষকে হত্যা করে কখনো একটি জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করা যায় না। জাতিগত বিভেদ এবং সাম্প্রদায়িকতার দেয়াল সৃষ্টি করে কখনো একটি সমাজে এবং রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। একইভাবে একটি সমাজ এবং রাষ্ট্রকে শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়া যায় না। সুতরাং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিন এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। বিদেশের মাটিতে শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে আনুন এবং তাদেরকে নিজ বসতভিটায় নিরাপদে বসবাস করতে দিন। রোহিঙ্গাদেরকে সাথে নিয়েই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন। এতেই মিয়ানমারের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
য় লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।