পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইসেপেক্টর আকরম হোসেন এবং ওসি এনায়েত হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ভোলার এসপি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং ওসি (তদন্ত) আকরম হোসেনের বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগার। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোলার পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত একযুগ ধরে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল প্রশাসন, আইন আদালত ছাত্রলীগের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়েছেন। তারাই শেখ হাসিনার শিখণ্ডি। তিনি বলেন, বিরোধীদল দমন করতে ছাত্রলীগ নেতাদেরকে পুলিশের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলির নির্দেশদাতা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা। প্রমোশন এবং পুরস্কারের আশায় এসপি সাইফুল বিএনপির মিছিলে নারকীয় তাণ্ডবের নির্দেশ দেন বলে জানতে পেরেছি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ মাঠে কার্যকর করেছেন পুলিশের ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন এবং ওসি এনায়েত হোসেন। ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করতে দেখা গেছে। তার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের কালঘড়ায়। তার মরহুম বাবা আব্দুল মতিন কিসলু ছিলেন আওয়ামী লীগার। ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন এবং ওসি এনায়েত হোসেন জনগণের নিরাপত্তাদানের বদলে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের আদেশ-নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, অঘোষিত দেউলিয়াত্বের মুখে পড়া সরকার ফুঁসে ওঠা জনরোষ থেকে বাঁচতে হিংস্র হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানি সংকট, সীমাহীন লুটপাট ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সারাদেশ যখন প্রতিবাদমুখর, তখন জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকতে বেসামাল হয়ে জনগণের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করে পাখির মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে সরকার।
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়ে আবারও আওয়ামী লীগ প্রমাণ করলো বল প্রয়োগ করে জবরদস্তি করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। আমরা আব্দুর রহিম ও নুরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। জনগণের অভ্যুত্থানে এ সরকারের পতন ঘটবে। তারপর জনগণের সরকার কড়ায় গণ্ডায় বিচার করবে। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।
এ সময় বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের, শরাফুদ্দিন সফু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।