নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের সব আসরের শিরোপাজয়ী ভারতের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদেরই মাটিতে। এদিকে নিজেদের সামনে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের হাতছানি। স্নায়ুচাপ থাকারই কথা। তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তানভীর হোসেনের ‘চাপ-টাপ’ কিছুই দেখছেন না। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে রাউন্ড রবিন লিগের মতো ফাইনালে ভারতকে আবারও হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
প্রতিযোগিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের শুরুটা এবার ভালো হয়নি। বাংলাদেশের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় তারা। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষদের রীতিমতো উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। শ্রীলঙ্কাকে ৪-০, নেপালকে ৮-০ গোলে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারায় ভারত। ৪টি করে গোল নিয়ে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়েও আছে তাদের দুজন-গুরকিরাত সিং ও পার্থিব সুন্দর। ফাইনালে তাই এ দুজনের আক্রমণের ঝড় সামলাতে হবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে। অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠা অধিনায়ক তানভির এসব নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন না। ভারতের মাটি থেকে শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরাই লক্ষ্য তার, ‘আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন শিরোপাটা দেশবাসীকে উপহার দিতে পারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি। চাপ বলতে...এর আগে গ্রুপ পর্বে আমরা ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েছি। এটা আমাদের কাছে কোনো চাপ নয়। ইনশাআল্লাহ আমাদের যে খেলা, যেভাবে আমরা এই টুর্নামেন্টে শুরু করেছি, সেটা যদি আমরা ফাইনালে খেলতে পারি, আমাদের সব খেলোয়াড়রা যদি ভালো এফোর্ট দিতে পারে, তাহলে ইনশাল্লাহ ভালো কিছু হবে।’
রাউন্ড রবিন লিগে সবচেয়ে কম গোল হজম করা দল ভারত- ২টি। অপরাজিত পথচলায় বাংলাদেশ চার ম্যাচে হজম করে ৩ গোল। অর্থাৎ শাহীন-আজিজুলদের নিয়ে তানভীর ভালোভাবেই সামলেছেন রক্ষণভাগ। বাংলাদেশের দুর্ভাবনার জায়গা লাল কার্ডের কারণে মিডফিল্ডার শহীদুল ইসলামকে না পাওয়া। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, ৪ গোল করা মিরাজুল ইসলামের চোট গুরুতর নয়। ফাইনালে এই ফরোয়ার্ডের খেলার সম্ভাবনা বেশি। চোটমুক্ত দল নিয়ে অধিনায়ক তাই আরও বেশি আশাবাদী, ‘দলে এখন কারো কোনো ইনজুরি নেই। সবচেয়ে বড় কথা সবার আত্মবিশ্বাস আছে। মনের মধ্যে কোনো চাপ-টাপ নেই। আমরা সবাই ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
দলের ম্যানেজার ও সাবেক ফুটবলার বিজন বড়ুয়া বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের দলটা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। ফাইনালে আমরা অবশ্যই জিততে চাই। কোচ পল স্মলি সেভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। সে অনুযায়ী আশা করি ফাইনাল খেলবো আমরা।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।