মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের চারপাশে বড় আকারের সামরিক সমুদ্র ও বিমান মহড়া শুরু করেছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান থেকে যাওয়ার পরই শুরু হয়েছে ক্ষুব্ধ চীনের সামরিক শক্তির প্রদর্শন।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে, তাইওয়ানের আশেপাশের ছয়টি এলাকায় লাইভ-ফায়ার ড্রিল স্থানীয় সময় দুপুরে শুরু হয়েছে এবং ৭ আগস্ট একই সময় পর্যন্ত চলবে। তাইওয়ানের দাবি, চীন এই কুচকাওয়াজ শুরু করলে ১৮টি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ করে দিতে হবে। চীন পেলোসির আগমনের পর মঙ্গলবার রাতে সামরিকভাবে চাপ দিতে শুরু করে এবং পরে পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করে।
বুধবার সামরিক তৎপরতা অব্যাহত ছিল, তাইওয়ান বলেছে যে, মহড়াগুলি জাতিসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, তার আঞ্চলিক স্থান আক্রমণ করেছে এবং তার আকাশ ও সমুদ্র অবরোধ করেছে। বৃহস্পতিবার, জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনের সামরিক কার্যকলাপকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়’ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
চীনের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, এই কুচকাওয়াজ হলো মূলত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। তবে সেই সময় গোলাবারুদ ছোড়া হবে। কিছু জায়গায় তাইওয়ানের সমুদ্রতটের ২০ কিলোমিটার দূরে এই ড্রিল হবে। সরকারি ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উসকানিদাতা।
তাইওয়ান বলেছে, চীনের এই সামরিক ড্রিল আঞ্চলিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চীন অযৌক্তিক কাজ করছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইপেই সতর্ক। সব জাহাজ ও নৌকাকে বলে দেয়া হয়েছে, ড্রিল চলার সময় তারা যেন সমুদ্রে না যায়। বুধবার চীনের যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছিল বলে তাইপে অভিযোগ করেছে।
ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বরেল চীনের এই সামরিক ড্রিলের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ড্রিলের কোনো যৌক্তিকতা নেই। জি৭-ও একই কথা বলেছে। তাদের মতে, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে।
বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করে এবং দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকার সময়, তাইওয়ানের বিষয়ে ‘কৌশলগত অস্পষ্টতার’ নীতি অনুসরণ করে এবং দ্বীপটিকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে আইন দ্বারা আবদ্ধ। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।