Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় অবৈধ সম্পদ অর্জনে ডিবি কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ২:৪৮ পিএম

খুলনা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক এসআই মো.আলী আকবর শেখ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।

আজ বুধবার খুলনা দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার (মহানগর) সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজন কুমার রায় জানান, খুলনা মহানগরীর পশ্চিম টুটপাড়া, মেইন রোডের আঞ্জুমান মঞ্জিলের (হোল্ডিং নং-১৮/২) বাসিন্দা এসআই মো. আলী আকবর শেখ (সাময়িক বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী নাজমা আকবরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২১ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করা এবং মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ৮৮ লাখ ২২ হাজার ৯৭২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) এবং ২৬(২) ধারা তৎসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আলী আকবরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে
অভিযোগগুলোর সত্যতা ধরা পড়লে প্রতিবেদন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর পর ২০১১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আকবরকে সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান,সম্পদ বিবরণীতে আকবর তার ও স্ত্রী নাজমা আক্তারের নামে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৩৬ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে বলে জানান। অস্থাবর সম্পদ বিবরণীর কলামে তিনি মোট আটটি অস্থাবর সম্পদের বিবরণ দাখিল করেন। এসবের মূল্য ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এ সম্পদ বিবরণী নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক।

দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাতাব উদ্দিন জানান, অনুসন্ধানে দেখা যায়- মো. আলী আকবর শেখ ২০০৭ সালের ২১ জুলাই খুলনা সিটি করপোরেশনের লবণচরা মৌজায় ৪ কাঠা জমি ১ লাখ ৯২ হাজার টাকায় কেনেন। তিনি এবং তার স্ত্রী নাজমা আক্তার ২০১০ সালের ২৮ জুন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পুঁটিখালী ও গাজিরঘাট মৌজায় ৩ দশমিক ৯৩ একর জমি ৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় কেনেন। পরের বছর ৯ ফেব্রুয়ারি এ দম্পতি খুলনার টুটপাড়া মৌজায় দশমিক ৫ একর বাস্তুজমি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। এগুলো তিনি সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। তিনি আরও জানান, সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার পর ২০১২ সালের ২ জুলাই খুলনার টুটপাড়া মৌজায় আকবর দশমিক ৪৫ একর জমি কেনেন এবং ওই জমিতে চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। ওই ভবনের ব্যয় নিরূপণে একটি প্রকৌশলী টিম গঠন করা হয়। তারা ভবন নির্মাণে ১ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ২৫১ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান। সব মিলিয়ে এসআই আলী আকবরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ