Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনে মানুষের আগ্রহ কিছুটা কম

প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ৭৫ভাগ হলেও বুষ্টার ডোজ ২৫ ভাগ

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ১:১৫ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে গত দু মাসে করোনা ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ প্রয়োগে কিছুটা গতি আসলেও এখনো ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ভাগ মানুষও তা গ্রহন করেনি। পাশাপাশি ১ম ও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগও গত দু মাসে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এমনকি বুষ্টার ডোজ গ্রহনের ব্যাপারে এখনো সমাজের মধ্যম থেকে নি¤œ বিত্তের মানুষের মধ্যে তেমন কোন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো। অনেকের মধ্যেই বুস্টার ডোজ গ্রহনের পরে জ¦র সহ শরির ব্যাথার এক ধরনের ভীতিও কাজ করছে। অথচ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা প্রতিরোধে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরনের সাথে ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ গ্রহনের কোন বিকল্প নেই। অপরদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে বর্তমানে শুধুমাত্র ফাইজারের বুুষ্টার ডোজ গ্রয়োগ করা হচ্ছে, যাতে জ¦র সহ কোন ধরনের উপসর্গের সম্ভবনা খুবই কম।
এদিকে এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০২১-এর ৭ জানুয়ারী থেকে গত জানুয়ারীর প্রথমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় যেখানে ৪৪ লাখ ১০ হাজার ৬১৬ জন প্রথম ডোজ এবং ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৩ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছিলেন, সেখানে গত ৩১ মে পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ জন প্রথম ডোজ গ্রহন করেছেন। আর প্রথম ডোজ গ্রহনকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছিলেন ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৯ জন। তবে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩ জন।
কিন্তু এর ১ মাস পারে, ৩০ জুন পর্যন্ত ১ম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা দাড়ায় ৬৯ লাখ ১০ হাজার ৫৫৩ জনে। আর এসময়ে ২য় ডোজ গ্রহন করেছিলেন ৬০ লাখ ২৪ হাজার ৭১৫ জন নারী-পুরুষ। এ হিসেবে জুন মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২ উপজেলায় মাত্র ৭ হাজারের কম মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং ৪২ হাজার ৩৪৬ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। তবে এসময়ে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবেই বেড়ে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৩১৬ জনে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ একমাসে বুষ্টারডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৭৭ হাজারের মত।
তবে জুলাই মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহন কারীল সংখ্যা পূর্ববর্তি মাসের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৫৪ হাজার ৭২৬। তবে এসময়ে ২য় ডোজ গ্রহনকারনীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৩। পাশাপাশি জুলাই মাসে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যাটা পূর্ববর্তি মাসের অর্ধেকেরও নিচে হ্র্সা পেয়ে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৯ জনে স্থির ছিল।
ফলে প্রায় ১ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলে ১২ বছরের ঊর্ধ্বের ৮০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮০৯ জনে। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন ৬১ লাখ ৩৩ ৫৩৮ জন। আর বুষ্টার ডোজ গ্রহন করেছেন মাত্র ২০ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৫ জন। যা এ অঞ্চলে ১৮ বছর ও তদোর্ধ ৬০ লাখেরও বেশী জনসংখ্যার ২৫ ভাগের মত। এখন পর্যন্ত দেশে ১৮ বছর ও তদোর্ধদেরই বুষ্টার ডোজ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভবাগীয় পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলা-উপজেলাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি ১২ বছরের ঊর্ধ্বের শতভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে। বুষ্টার ডোজের ব্যাপারে ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জানিয়ে তিনি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকলকে তা গ্রহনেরও আহবান জানান। পাশাপাশি সরকারী নির্দেশনা পেলে দক্ষিণাঞ্চলেও ৫ বছরের ঊর্ধ্বের সব শিশুকে করোনা ভ্যাাকসিন প্রয়োগের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ