মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত, যুক্তরাজ্য, উগান্ডা সব দেশের কাছ থেকেই ‘রাষ্ট্রহীন’ তকমা পাওয়া নারী ইলা পোপাট এবার ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়ার দাবি নিয়ে মুম্বাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ভারত, যুক্তরাজ্য এবং উগান্ডা কোনও দেশই ইলা পোপাটকে নিজেদের নাগরিক করতে রাজি নয়। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ভারতে বাস করা এই নারী এবার ভারতীয় পাসপোর্টের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। উগান্ডায় ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া ইলা মাত্র ১০ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে জাহাজে করে ভারতে যান। এখন তার বয়স ৬৬ বছর। তিনি ভারতে বিয়ে করেছেন, সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, ভারতে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। এমনকী তার ভোটার আইডেন্টিটি কার্ডও আছে। কিন্তু তার যা নেই সেটি হল, ভারতের একজন নাগরিক হিসেবে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট। আর একারণে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে আছেন। পাসপোর্টের অভাবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন না। বিবিসি জানায়, ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে ইলা এবার হাজির হয়েছেন মুম্বাইয়ের হাই কোর্টের দ্বারে। ভারতীয় কর্মকর্তারা যাতে তাকে পাসপোর্ট ইস্যু করেন সেজন্য আদালতের আদেশ চান তিনি। কয়েক দশক ধরে ভারতে বাস করছেন, দেশটিকে নিজের বাড়ি করে নিয়েছেন। তার ভাষায়, একজন ‘ভারতীয় হতে’ যেসব কাগজপত্র দরকার তার অনেক কিছুই তার আছে। তারপরও তিনি এক বিরল পরিস্থিতিতে পড়েছেন। কয়েক দশক ধরে তিনটি ভিন্ন দেশ থেকে তিনি পাসপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না। ফলে তিনি হয়ে আছেন রাষ্ট্রহীন। ইলা বলেন, ‘‘প্রত্যেকবার, আমি কোন দেশের নাগরিক এই প্রশ্নে তারা আটকে যাচ্ছে।” ইলার বাবা ভারতের পশ্চিমের রাজ্য গুজরাটের পোরবন্দর নগরীতে জন্মেছেন এবং বড় হয়ে উঠেছেন। ১৯৫২ সালে ইলার বাবা কাজের সূত্রে উগান্ডা যান এবং কয়েক বছর পর ব্রিটিশ পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। উগান্ডা তখন ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ইলার জন্মের সাত বছর পর উগান্ডা স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর দেশটিতে চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এবং জরুরি অবস্থা জারি হলে ১৯৬৬ সালে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে উগান্ডা থেকে ভারতে চলে যান ইলা। তিনি বলেন, ‘‘একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আমি ভারতে আসি। আমার নাম আমার মায়ের পাসপোর্টে লেখা ছিল। তার পাসপোর্ট অনুযায়ী, তিনি একজন ‘ব্রিটিশ প্রোটেক্টেড পারসন’ ছিলেন।” যুক্তরাজ্য সরকার যাদের নাগরিকত্ব দেয় তাদেরকে এভাবেই শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।