পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীর সহযোগিতা চায় সউদী আরব নেতৃত্বাধীন ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশন। ওই জোটের মহাসচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মেদ আল-মুঘেদি এ সপ্তাহে ঢাকা সফর করে এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদের।
মহাসচিব মেজর জেনারেল মুঘেদি বাংলাদেশের আমন্ত্রণে গত ২৬-২৭ জুলাই ঢাকা সফর করেন। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটটির মহাসচিবের এটিই প্রথম ঢাকা সফর। জোটের টুইট একাধিক বার্তায় মহাসচিব জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনের উদ্দেশে বৈঠকগুলোতে সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং উভয়পক্ষের এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল এইচ হাসান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে মহাসচিব বৈঠক করেছেন। এছাড়া সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেছেন।
এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাস দমনে উভয়পক্ষের আগ্রহ আছে, আমরা আরও সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, জোটে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৪১টি, তাদের মধ্যে ২৭টি দেশ ইতিমধ্যে তাদের প্রতিনিধি দল ওই জোটে পাঠিয়েছে। মহাসচিব বৈঠকগুলোতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর জন্য আমাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ওই জোটে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চারটি পদ সৃজন করা আছে। এরমধ্যে একটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের, একটি পুলিশের এবং বাকি দুটি সামরিক বাহিনীর।
এই জোটের বড় একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই,এই বার্তাটি সবাইকে দেওয়া। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য আছে বলে জানান তিনি। ২০১৫ সালে গঠিত সউদী নেতৃত্বাধীন জোটে প্রথম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যোগ দেয়। এর সহযোগী দেশ হিসাবে আছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স। জোটের চেয়ারম্যান সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান। জোটের সব ব্যয় সউদী কর্তৃপক্ষ বহন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।