পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২২ জুলাই ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্য এবং খাদ্যসামগ্রী নিরাপদ পরিবহনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ওডেসা অঞ্চলের তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণ সাগরে একটি করিডোর খুলে দেওয়া হয়। তুুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের উদ্যোগে এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ২০ কোটি থেকে আড়াই কোটি টন শস্য রফতানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উন্নয়নের অর্থ কেবল বাজারে ক্রমবর্ধমান শস্যের দামের ভারসাম্য বজায় রাখাই নয়। এর মাধ্যমে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা, বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলোর মতো দরিদ্র দেশগুলোতে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুণের জীবন রক্ষা সম্ভব হবে।
তবে, সমস্যার এখানেই শেষ নয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকে মার্কিন নেতৃত্বে মস্কোর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পশ্চিমেও আঘাত হানতে শুরু করেছে। শস্য সঙ্কট আংশিকভাবে কাটিয়ে উঠলেও পরবর্তী বিপত্তি হিসেবে রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস। একটি টারবাইন মেরামতের জন্য কানাডায় পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে মস্কো জুন মাসে ইইউ দেশগুলোতে গ্যাসের চালান ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে নর্ড স্ট্রিম থেকে ইউরোপে গ্যাসের চালান ৬৭ মিলিয়ন টন থেকে ৩৩ মিলিয়ন টনে নেমে যাবে।
এনিয়ে বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছে রাশিয়া থেকে তার ৪০ শতাংশ গ্যাস কেনা ইইউ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোকে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমাতেও বলা হয়েছে। তবে, গ্রীস এবং চেক প্রজাতন্ত্র ইতোমধ্যে এই কঠোরতা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। তারা বলেছে, ‘সম্ভব নয়’। এদিকে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ‘জার্মানী হিসাবে, আমরা গ্যাস পাব না বলে আমরা ইউক্রেনকে কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারব না, কারণ তখন আমরা গণআন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত থাকব।’
বাইডেন প্রশাসন, যা ইউক্রেনের পর ইইউকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দিয়েছিল এবং বুমেরাংয়ের মতো ফিরে আসবে এমন নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিল, তা বাস্তব উপেক্ষা করে চলেছে। ২০১৮ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাল্টিক সাগরে গ্যাস পাইপলাইনের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি করেন। তিনি বলেন, ‘জার্মানি জ্বালানী শক্তির জন্য রাশিয়ার পেছনে উচ্চ স্তরের শক্তি খরচ করে। অতএব, জার্মানি রাশিয়ার বন্দী।’ প্রতিক্রিয়াতে জার্মানি, যারা সঙ্কট সমাধানের জন্য এবং আর্থিক কারণে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের চাপকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, ‘জার্মানি রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী নয়।
তবে কি আসন্ন শীতকে সামনে রেখে একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে?’ হয়তো, এরদোগান, যিনি ইউক্রেন সঙ্কটের শুরু থেকে কোনো পক্ষ না হয়ে ভারসাম্যের নীতি অনুসরণ করে আসছেন এবং এইভাবে শস্য করিডোরে মধ্যস্থতা করছেন, তিনি আবার সামনে আগাবেন দেবেন। কারণ এই ভ‚মিকা নেওয়ার মতো অবস্থানে অন্য কোনও নেতা নেই। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।