মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানে আবারও আগাম নির্বাচনের দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র আগাম নির্বাচনই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তান আজ যে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে তা থেকে দেশকে রক্ষা করবে সময়মতো একটি নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। মূলত নিজ দলের প্রায় দুই ডজন সংসদ সদস্যের দলত্যাগের পর ইমরান সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে বড় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি মফস্বল এলাকাগুলোতেও একের পর এক সমাবেশ করে চলেছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এসব সমাবেশে পিটিআই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো এবং সেখানে তিনি বরাবরই আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
এছাড়া সম্প্রতি পাঞ্জাব প্রদেশে উপনির্বাচনে জিতে সেখানে ফের ক্ষমতা দখলে নিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। আর এরপর ইমরানের আগাম নির্বাচনের সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, পাকিস্তানের বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একটিমাত্র উপায় রয়েছে এবং তা হলো দেশে নতুন সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিরোধিতার জন্য নির্বাচন কমিশনকেও দায়ী করেছেন।
ইমরান খান আরও বলেছেন, নির্বাচনে দুর্নীতির অগণিত উপায় নস্যাৎ করতে পারতো ইভিএম। কিন্তু এটির বিরোধিতা করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশন ভাষণে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি জনগণ একটি জাতিতে পরিণত হয়েছে। তার ভাষায়, (পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে) ক্ষমতাসীন দলের সকল ‘কৌশল’ সত্ত্বেও পিটিআই যেভাবে জয়ী হয়েছে তা অলৌকিক।
পিটিআই প্রধান দাবি করেছেন, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সূচক সঠিক পথেই ছিল এবং ‘শক্তিশালী মহল’কে তিনি এ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন বলে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে।
ইমরান খান বলেন, ‘পিটিআই ক্ষমতায় থাকার সময় আমরা কৃষি ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলাম। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন আমরা যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি তা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও প্রশংসা করেছিল।’
তার ভাষায়, ‘পাকিস্তান (উন্নয়নের) ঊর্ধ্বমুখী পথেই ছিল এবং তখনই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়।’
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে বড় বড় শহরগুলোতে একের পর এক সমাবেশ করেছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এসব সমাবেশে পিটিআই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
এসব সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পিটিআই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে বরাবরই বিদেশি ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন ইমরান। একইসঙ্গে শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকে ‘আমদানীকৃত সরকার’ বলেও অভিযুক্ত করে আসছেন তিনি। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।