নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম টেস্টে প্রায় সাড়ে তিনশো তাড়া করে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টে তাদের জন্য কাজটা আরও অনেক কঠিন করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন এক লক্ষ্য দিয়েছে যা তাড়া করার নজির টেস্ট ইতিহাসে নেই। ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ম্যাচ বাঁচানোর কাজটাও সহজ নয়। এমন সমীকরণ আবারও শেষ দিনে আভাস মিলছে রোমাঞ্চের।
গল টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে দুটো ফলাফলকে আসলে সম্ভাব্য বাস্তবতা ধরা যায়। হয় জিতবে শ্রীলঙ্কা, অথবা দৃঢ়তা দেখিয়ে ড্র করে ফেলবে পাকিস্তান। ৫০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১ উইকেটে ৮৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। শেষ দিনে ম্যাচ জিততে চাই ৪১৯ রান, টেস্ট ক্রিকেটের বাস্তবতায় যা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। এখনো পর্যন্ত টেস্টে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে ত্রিনিদাদে অস্ট্রেলিয়ার ৪১৮ রান তাড়া করেছিল তারা। অসম্ভবের পথে পাকিস্তান যেতে পারে কিনা তাও দেখার বিষয়। ড্র করতেও দেখাতে হবে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা। পঞ্চম দিনের উইকেটে ব্যাট করতে হবে পুরো দিন। আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা ঘন্টাখানেক আগে থামার আগে পাকিস্তানকে আশায় রাখেন অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম উল হক। ইমাম ৪৬ ও বাবর ২৬ রান নিয়ে ক্রিজে।
৫ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কাকে দিনের শুরুতে টানেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারতেœ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। প্রথম ঘন্টায় তাদের ব্যাট ছিল সাবলীল। এই দুজনের জুটিতে লিডটা দ্রæতই বড় করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। লাঞ্চের আগে ১০৫ বলে ৬১ করে ফেরেন দিমুথ। ৬ষ্ঠ উইকেটে তার আগে এসে যায় ১২৬ রান। ধনঞ্জয়া পরে দুনিথ ওয়েলেগেলের সঙ্গে ৪৪ বলে পান ৩৫ রানের আরেক জুটি। লাঞ্চ থেকে ফিরে ধনঞ্জয়া তুলে নেন তার নবম টেস্ট সেঞ্চুরি। নয়ে নামা রমিশ মেন্ডিস রান উঠান ওয়ানডে গতিতে। তবে একদম অলআউট খেলতে দেখা যায়নি তাদের। রানের চাকা সচল থাকলেও ঝুঁকি নিয়েছেন কম। দ্বিতীয় সেশনে আরও এক ঘন্টা ব্যাট করে পাঁচশো ছাড়ানো লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিপক্ষের জন্য তবেই ছাড়েন ইনিংস।
রান তাড়ায় নেমে আগের টেস্টের হিরো আব্দুল্লাহ শফিককে পঞ্চাশ রানের আগে হারায় সফরকারীরা। তবে দলের ৪২ রানে তিনি যখন আউট হন তখন চলছে ১৬তম ওভারের খেলা। মাত্র ১৬ রান করে প্রভাত জয়াসুরিয়ার শিকার হলেও দলকে থিতু হওয়ার মতো একটা শুরুতে ঠিকই অবদান রেখেছেন তিনি। এরপর আর কোন বিপর্যয় নয়। বাবর নেমে ছিলেন ইতিবাচক। ইমামের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রান এসে গেছে ৭২ বল খেলে। পঞ্চম দিনে তাদের অ্যাপ্রোচ কেমন হবে তা বেশ কৌত‚হলের বিষয়।
গলের উইকেটে টার্ন আছে, তবে শেষ দিকেও ব্যাট করা কঠিন হচ্ছে না। আলোক স্বল্পতা ও বৃষ্টির কিছু শঙ্কা থাকায় শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে অলআউট করার জন্য যথেষ্ট সময় পেল কিনা তা নিয়েও থাকছে সংশয়। প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এমনিতে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। এই টেস্ট ড্র করতে পারলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। শ্রীলঙ্কার ৩৭৮ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে কেবল ২৩১ রানে গুটিয়ে ম্যাচটা কঠিন হয়ে গেছে বাবরদের। সেই অবস্থা থেকে এবার ঘুরে দাঁড়াতে হলে শেষ দিনে বড় ধরণের চমক দেখাতে হবে তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।