পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইলি কোনো লক্ষ্যবস্তুই হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের বাইরে নয় বলে দাবি করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ। সোমবার রাতে আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লেবাননসহ আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইহুদিবাদী শত্রুরা এ কথা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, লেবাননের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নিলে তার পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। ওই সময় ইসরাইলি শত্রুরা লেবাননের দখলকৃত বহু এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালের পর থেকে ইসরাইল প্রকাশ্যে লেবাননের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানোর সাহস দেখায়নি যদিও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে। ভূমধ্যসাগরে লেবাননের পানিসীমায় অবস্থিত কারিশ গ্যাসক্ষেত্র থেকে ইসরাইলের গ্যাস উত্তোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, লেবানন সরকার এ দেশের তেল ও গ্যাস সম্পদ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে; কাজেই এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, লেবাননকে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি দিতে তেল ও গ্যাস উত্তোলন করতেই হবে। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ বহুবার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, লেবাননের পানিসীমা থেকে যেন ইসরাইল তেল ও গ্যাস উত্তোলন না করে। কারণ সে ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহ তার কঠিন জবাব দেবে। হিজুবল্লাহর সামরিক শক্তি বিশেষ করে ড্রোন শক্তির প্রতি ইঙ্গত করে সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহ বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের অনেক ড্রোন প্রায়ই ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করত কিন্তু শত্রু তা টের পায়নি। টাইমস অব ইসরাইল, আল-মানার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।