চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে অতীতের দুটি নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময়ে অংশ নেয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, অতীতেও নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গঠনমূলক প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কোন প্রস্তাবনাই মূল্যায়ন করা হয়নি বরং তাদের দ্বারা আমরা একধরণের প্রতারিত হয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও বিগত দুটি নির্বাচন কমিশনের মতো একই প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনও ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনে আরও একটি বিতর্কিত ও প্রহসনের নির্বাচন করার পথেই অগ্রসর হচ্ছে। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষার প্রধান দায়িত্ব যে নির্বাচন কমিশনের; সেই নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, সদিচ্ছা ও স্বাধীনতার প্রমান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের কোন বিতর্কিত কাজের সহযোগী হয়ে জনমতের বিপক্ষে দাঁড়াতে পারি না। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ নেয়নি। যা গতকাল চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।