পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গতকাল অবস্থান নিলেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের জন্য বারবার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। পরে তিনি ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়া পর্যন্ত স্টেশনের বাইরে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন।
গতকাল রোববার মহিউদ্দিন রনিকে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করার জন্য হুইল চেয়ারে বসে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় গেট। পরে ডা. জাফরুল্লাহ গেটের বাইরে অবস্থান করেন। এসময় সাংবাদিকদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ভালো কাজের প্রতি আমাদের সমর্থন থাকে। আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি। প্রবেশের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত এখানেই অবস্থান নিয়ে থাকবো।
গতকালও বাধার মুখে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢুকতে পারেননি রনি ও তার সহযোগীরা। বিকেলে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন রনিসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। তবে তারা স্টেশনে ঢুকতে পারেননি। তাদের স্টেশনের ভেতরে ঢুকতে না দিতে সব ফটকের সামনে অবস্থান নেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। তারা সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেন। তবে টিকিট দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
পরে রনি ও তার সহযোগীদের প্রতি সমর্থন জানাতে আসেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রনির ৬ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীরা আসেন। স্টেশনের সবকটি ফটক বন্ধ থাকায় তারা স্টেশনের বাইরে রিকশাস্ট্যান্ড এলাকায় বসে পড়েন। সেখানে তারা দুর্নীতিবিরোধী সেøাগান দেন।
এর আগে গত শনিবার রনি ও তার সমর্থকরা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশের পথেই অবস্থান নেন। তারা দুর্নীতিবিরোধী সেøাগান দেন। এসময় কয়েকজন বখাটে যুবক কয়েকটি পচা ডিম নিক্ষেপ করে রনি ও তার সমর্থকদের ওপর। এতে রনির গায়ে না লাগলেও দুজনের শরীরে লাগে পচা ডিম। মহিউদ্দিন রনি জানান, যতদিন দাবি আদায় না হবে, ততদিন তার এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে। গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান নেন মহিউদ্দিন রনি।
এদিকে, রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন কমিটি প্রায় ৭ মাসেও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। তারা আগামী ১ মাসের মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সংশোধিত রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই নিয়োগবিধি সংশোধনে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি দাবি জানিয়ে আসলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাতে কর্ণপাত না করে জনবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ কারণে রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যদের মাঝে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা রেলওয়ের প্রচলিত বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের কর্মপদ্ধতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ-পদবি অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। স্বাভাবিক কারণে রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যরা মনে করে, রেলওয়ে তাদের স্বতন্ত্র আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এবং রেলওয়েকে চলমান স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা উচিত। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সাগর প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।