পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় পাঁচ বছর হল, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনায় ‘নগর পরিবহন’ চলছে না। নগর পরিবহন না থাকার সুযোগে থ্রি হুইলারগুলো ইচ্ছেমত ভাড়ায় যাত্রি বহন করছে। নগরীর সড়কগুলো ভরে গেছে বৈধ-অবৈধ ইজিবাইক আর মাহিন্দ্রাসহ তিন চাকার বাহনে। ফলে একদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা, অন্যদিকে নগরীতে চলাচলরত প্রায় ৫০ হাজার বিদ্যুৎচালিত থ্রি হুইলারগুলো বিদ্যুতের বড় একটি অংশ ব্যাটারি চার্জে খরচ করছে। ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচিত হলে ‘নগর পরিবহন’ পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ৪ বছর পার হয়েছে, এ পর্যন্ত তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি।
সূত্র জানায়, দেশ স্বাধীনের পর ৬০টি বাস নিয়ে খুলনা শহরে ‘নগর পরিবহন বা টাউন সার্ভিস’ সেবা চালু হয়। খুলনার রূপসা মোড় থেকে ফুলতলা পর্যন্ত এবং দৌলতপুর-আড়ংঘাটা হয়ে নগর পরিবহনগুলো চলাচল করত। ২০১৭ সালে ৫৫টি বাসই সড়কে চলাচলের যোগ্যতা হারায়। এর পরের বছরই শহরে গনপরিবহন সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে শহরের নগর পরিবহন সেবা বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। একই বছরে অনুষ্ঠিত হয় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নির্বাচনী ইশতেহারে নগর পরিবহন পুনরায় চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৯ সালে খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে ৪টি বাস নিয়ে গনপরিবহন চালু হয়। কিন্তু ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা ও সিএনজির সাথে সম্পৃক্ত থাকা প্রভাবশালীদের কাছে হার মেনে করোনার আগেই সেগুলো ফের বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর তা চালু হয়নি।
জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর খুলনাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাড়ছে নগরীতে মানুষের আনাগোনা। দেশের তৃতীয় বৃহৎ মহানগরী খুলনা শহরে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের বসবাস। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় যে, খুলনা একটি বিভাগীয় শহর হওয়া সত্ত্বেও এখানে নগর পরিবহন নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বছরের পর বছর নগর পরিবহন চালু না থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীরা। ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা ও সিএনজি অটোরিকশায় যথেচ্ছ ভাড়া আদায়, বেপরোয়া চলাচলে দুর্ঘটনা, চালকদের অসদাচরণ, যানজটসহ নানা রকমের অত্যাচারে নাকাল নগরবাসী। অথচ বিগত পাঁচ বছরে খুলনায় জনগণের স্বার্থে নগর পরিবহনের মতো মৌলিক বিষয়ে কোনো কার্যকরী উদ্যোগ খুলনাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়নি।
এদিকে, নগর পরিবহন চালুর দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা। খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন নিসচার নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে নতুন কয়েকটি রুট উল্লেখ করে নগর পরিবহন পুনরায় চলাচলের দাবি জানানো হয়।
প্রস্তাবিত রুটসমূহ হচ্ছে- রূপসা-ফুলতলা, রূপসা ব্রিজ-জিরো পয়েন্ট-বিকেএসপি আটরা, ডুমুরিয়া-গল্লামারী-রেল স্টেশন, ফেরিঘাট-জোড়াগেট-পলিটেকনিক কলেজ-মহসীন কলেজ-পিপলস মিলস্-নতুন রাস্তা, শিববাড়ী সোনাডাঙ্গা-বয়রা-নতুন রাস্তা, রূপসা ব্রিজ-লবনচরা-শিপইয়ার্ড-জজ কোর্ট।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন তালুকদার সোহাগ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।