নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানের ক্যাচ মিসের মহড়ার দিনে শ্রীলঙ্কার শুরু আর শেষটা হলো দারুন। তবে গলে আক্ষেপের পাল্লা কিছুটা ভারী লঙ্কানদের। আরেকটি শতক থেকে যে মাত্র ২০ রান দূরে থামতে হয়েছে দিনেশ চান্ডিমালকে। নিজের শততম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস অর্ধশতক পাননি ৮ রানের জন্য। তবে দিন শেষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সেই ব্যাটিং ধস সামলে নিয়েছে লঙ্কানরা। তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক কন্ডিশনে প্রথম দিন শেষে ৩১১ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। পাকিস্তান নিয়েছে ৬ উইকেট। শেষবেলায় ক্যাচ হাতছাড়ার আক্ষেপে পুড়েছে তারাও।
গতকাল টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া শ্রীলঙ্কার শুরুটা দারুণ হয় ওশাদা ফার্নান্ডো ও দিমুথ করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিতে। ৩টি ছক্কায় ৭০ বলে ৫০ রান করেন ফার্নান্ডো। ২১তম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে কট-বিহাইন্ড হওয়ার আগে করুনারত্নের সঙ্গে তার জুটিতে ওঠে ৯২ রান। তবে মধ্যাহ্নবিরতির আগে-পরে ২৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ফার্নান্ডোর পর রানআউট হয়ে ফেরেন কুশল মেন্ডিস, সেটিও দুর্ভাগ্যজনকভাবেই। করুনারত্নের স্ট্রেইট ড্রাইভ আগা সালমানের হাতে লেগে ভাঙে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প, সে সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন মেন্ডিস। আর ইয়াসির শাহকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন ৪০ রান করা করুনারত্নে।
১২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে এরপর এগিয়ে নেন ফর্মে থাকা ম্যাথুস ও চান্ডিমাল। অবিচ্ছিন্ন থেকেই চা-বিরতিতে যান দুজন। বিরতির পরপরই অবশ্য ফিরতে হয় ম্যাথুসকে। নোমান আলীর টার্ন করা দারুণ এক ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন ষষ্ঠ শ্রীলঙ্কান হিসেবে শততম টেস্ট খেলা ম্যাথুস, ১০৬ বলে ৪২ রানের ইনিংসে মারেন ৫টি চার। চান্ডিমালের সঙ্গে তার জুটিতে ওঠে ৭৫ রান। ম্যাথুস ফেরার পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে চান্ডিমাল যোগ করেন আরও ৬৩ রান। নিজে এগোচ্ছিলেন আরেকটি শতকের দিকেই। তবে নওয়াজের বলে উইকেট ছুড়ে আসেন তিনি। সামনে এসে মিড অনের ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েন ১৩৭ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রান করা চান্ডিমাল।
দ্বিতীয় নতুন বলে ডি সিলভাকে ফেরান নাসিম শাহ। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে ফাঁক রেখেছিলেন ৬১ বলে ৩৩ রান করে ডি সিলভা। ১ বল পরই অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটটিও পেতে পারতেন নাসিম। সিøপে নিরোশান ডিকভেলার সহজতম ক্যাচটি ফেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ডিকভেলা তখন ব্যাটিং করছিলেন ২৪ রানে।
সেই ডিকভেলা দিনশেষে ৪৩ বলে অপরাজিত ৪২ রানে। দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারে হাসান আলীর বলে ডিকভেলার বিপক্ষে এলবিডব্লুর রিভিউ নেন বাবর। তবে ‘দায়মোচন’-এর সুযোগ পাননি তিনি। ডিকভেলা অক্ষতই আছেন, খেলছেন আরেকটি প্রতি আক্রমণের ইনিংস। দিন শেষে তার সঙ্গী ৯ বলে ৬ রান করা দুনিথ ওয়েলালাগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।