মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো পাকিস্তানে টানটান উত্তেজনা চলছে। কারণ, নির্বাচনের ফলাফলের ওপর পাকিস্তানের আগামী দিনের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। নাটকীয় কিছু না হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনীতি চৌধুরী পারভেজ ইলাহিই মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজ টিকে থাকার জন্য সম্ভব সবকিছুই করছেন। অভিযোগ রয়েছে, এতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। এছাড়া ভোটার কেনাবেচার কথা ব্যাপকভাবে শোনা যাচ্ছে। ফলে শেষ মুহূর্তে যেকোনো ধরনের ঘটে যেতে পারে। স্থানীয় সময় বিকেল ৪.০০টায় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে ইমরান খানের পিটিআই ও তাদের মিত্র পিএমএলকিউ সহজেই পাঞ্জাবে সরকার গঠন করতে পারবে। আর তাতে তারা সফল হলে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বেশ উত্তাপ অনুভব করবে। দুটি প্রাদেশিক সরকার পকেটে পুরে ইমরান খান সহজেই পিএমএল-এনের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারবে। আর তাতে আগাম নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থী হচ্ছেন শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শাহবাজ ও ইমরান খানের মনোনীতি চৌধুরী পারভেজ ইলাহি।
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগে দিয়ে ইমরান খান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক করেছেন। এতে প্রাদেশিক পরিষদের ১৮৬ সদস্যের সবাই উপস্থিত ছিলেন। পাঞ্জাব পরিষদের ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি উপস্থিত ছিলেন না।
বর্তমানে এই দুই দলের এমপএর সংখ্যা ১৮৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৮৬। তবে ডেপুটি স্পিকার মির দোস্ত মোহাম্মদ মাজারি, চৌধুরী মাসুদ ও আরেকজন এমপিএকে বাদ দেয়া হলে তাদের আসন দাঁড়ায় ১৮৫-এ। আর যারা ভোটদানে বিরত থাকবে কিংবা দলের নির্দেশের বাইরে ভোট দেবে, তাদের আসন শূন্য হয়ে যাবে।
অন্য দিকে পিএমএলএনের দুটি আসন কমায় তাদের দাঁড়িয়েছে ১৬৭-এ। তাছাড়া পিপিপির সাতজন, স্বতন্ত্র চারজন ও রাহ-ই-হকের একজনের সমর্থন আছে তাদের। এই জোটের মোট সদস্যা ১৭৯। এখন তারা যদি পিটিআই-পিএমএলকিউ জোটে ভাঙন ধরাতে পারে, তবে তাদের আশা থাকবে।
এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছেন, পিটিআইয়ের ৫০ জন সদস্য তাদের পক্ষে ভোট দেবে। তার এই ঘোষণাও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠতে পারে।
পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি গত রাতে আবারো পিএমএল-কিউ প্রধান চৌধুরী সুজ্জাত হোসেনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। তিনি তাকে হামজা শাহবাজের পক্ষে টানার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। জারদারি এছাড়া চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে সম্মিলিত প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সূত্র : দি নিউজ ও জিও নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।