গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যারা বিএসএফের গুলিতে মারা যাচ্ছে তারা সবাই অপরাধী এবং প্রত্যেকটি গুলির ঘটনা রাতে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক শ্রী পংকজ কুমার সিং। তিনি বলেছেন, সিএসএফের গুলিকে মারা যাওয়া সবাই অপরাধী। তাদের কেউ গরু চোর আবার কেউ মাদক কারবারি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিজিবি-বিএসএফ যৌথ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সীমান্তে নিহত ব্যক্তিদেরা কো গ্রাউন্ডে অপরাধী বলছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে শ্রী পংকজ বলেন, আসলে জুডিসিয়াল সিস্টেম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের অপরাধী বলতে পারি না। এটা টার্গেট কিলিংও নয়।
বিএসএফ ডিজি আরও বলেন, আমরা তাদের প্রচলিত পদ্ধতিতে অপরাধী বলতে পারি না। আমরা সীমান্ত পুলিশ, বর্ডার গার্ড, কলকাতা পুলিশ, ডিএমপি পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করি। তারপর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। আসলে সীমান্তের অপরাধগুলো মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করে।
বিজিবির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে ভালো দাবি করে শ্রী পংকজ কুমার সিং বলেন, গরু পাচার, শিশু ও নারী পাচারকারীরাই সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে। মরণঘাতি নয় এমন অস্ত্রই আমরা সীমান্তে ব্যবহার শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের ৮৯ জন আহত হয়েছে।
‘প্রতি বছর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না’-এনিয়ে ভারত কী ভাবছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, আমরা প্রতি বছর এই প্রশ্নটি শুনি। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভিন্ন। পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতেও আলাদা। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে থাকি। অপরাধী দুই দেশেই আছে। দুই দেশেই ভালো মন্দ মানুষ আছে। সীমান্তে হত্যা পরিস্থিতি গত বছর ভালো ছিল। এ বছর আরও ভালো হচ্ছে। দুই দেশের প্রতিটি সমাজে ভালো মন্দ মানুষ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।