পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের আরাকান (নয়া নাম রাখাইন স্টেট) রাজ্যে গণহত্যার নারকীয় তান্ডবলীলা গত শুক্রবার থেকে আরও ভয়ানক মাত্রায় রূপ নিয়েছে। নিরস্ত্র-নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাইকারিভাবে ধরে ধরে গুলি চালিয়ে হত্যা, নারী-শিশুদের ধর্ষণ-বলাৎকার, বাড়িঘরে, মসজিদ-মাদরাসায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে উল্লাস এবং অবর্ণনীয় পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন-নিপীড়ন করে বিতাড়িত করা হচ্ছে স্বদেশের মাটি থেকে। ইতিহাসের এই বর্বরতম নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে একযোগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), বৌদ্ধ-মগদস্যু, পুলিশ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের আগ্রাসী সদস্যরা। গত দুই সপ্তাহে নিহত হয়েছে শত শত রোহিঙ্গা। নিখোঁজ হাজার হাজার। যার সঠিক হিসাব পাওয়াও দুষ্কর। আরাকানে গত দেড় মাস যাবত বিরাজমান অগ্নিকুন্ডের মতো ক্রমাগত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে নিজেদের মাতৃভূমিতে বসতবাড়িতে আর টিকতে না পেরে বাধ্য হয়েই বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তের কাছাকাছি ওপারে মংডুর কুয়ারবিলসহ বিভিন্ন স্থানে এসে ভিড় করেছে অন্তত ৫০ হাজার বিতাড়িত রোহিঙ্গা নর-নারী শিশু-বৃদ্ধ। তাছাড়া আরাকানের সীমান্তের কাছাকাছি পাহাড়-জঙ্গলে আরও লক্ষাধিক ভাগ্যাহত রোহিঙ্গা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় হাড় কনকনে শীতে তারা অবর্ণনীয় দুর্গতি পোহাচ্ছে। রোহিঙ্গারা গত এক সপ্তাহ ধরে উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে পালিয়ে আসতে থাকে। তাদের জীবন ও ইজ্জত-আব্রু বাঁচাতে এখন যে কোন সময়ই আরও ব্যাপকহারে ওপার থেকে এপারে ধেয়ে আসা শুরু হতে পারে।
বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া নজরদারি রয়েছে যাতে সম্ভাব্য রোহিঙ্গার আগমনস্রোত (ইনফ্লাক্স) ঠেকানো যায়। অবশ্য বিক্ষিপ্তভাবে এ যাবত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ মানবিক আচরণ অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি দৃষ্টে এখন সুস্পষ্ট যে, মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠী ও উগ্রবাগী বৌদ্ধ-মগরা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য আরাকানে ‘পোড়ামাটি’ নীতিগ্রহণ করেছে। আরো কতদিন রোহিঙ্গা নিধন ও সমূলে উচ্ছেদের ‘অভিযান’ চলবে তা এখনও অজানা। এ অবস্থায় আরাকানজুড়েই সৃষ্টি হয়েছে অবর্ণনীয় এক মানবিক বিপর্যয়। আরাকানের অনেক গ্রাম ও পাড়া ইতোমধ্যেই জনশূন্য হয়ে পড়েছে। পোড়া কয়লায় পরিণত হয়েছে বাড়িঘর, ধানের গোলা, গবাদি পশু-পাখির বাথান। আগুন আর ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফেলে আসা বাপ-দাদার বাড়িঘরে। তাদের চোখের সামনে শুধুই অন্ধকার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।
মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আরাকান (বর্তমানে রাখাইন)। হাজার বছর ধরে সেই রাজ্যে মুসলমানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আরাকানী রোহিঙ্গারাই সেখানকার আদিবাসী। আর রাখাইন মগবৌদ্ধরা সেখানে সংখ্যালঘু। আরাকানে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা-মক্তবসহ ইসলাম ও মুসলমানদের প্রাচীন নিদর্শন। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমূলে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সেই ১৯৭৮ সাল থেকেই পরিচালিত নীল নকশার আওতায় ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা-বিরোধী বিভিন্ন কর্মকা- ও অভিযান চলে আসছে। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে পরিচালিত রোহিঙ্গা নির্মূলের অভিযানের অংশ হিসেবে ১৯৭৮ সালে স্বদেশ থেকে মুসলমানদের বিতাড়ন এবং ১৯৯১-৯৪ পর্যন্ত ‘অপারেশন পীয়ে থায়ে’ (তথাকথিত ‘সুন্দর দেশ’) চালিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রেজুপাড়া তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ক্যাম্পে বর্মী ‘লুনথিন’ বাহিনীর হামলা, জওয়ান হত্যা ও অস্ত্রশস্ত্র লুটের মধ্যদিয়ে তাদের রোহিঙ্গা খেদাও অভিযান শুরু হয়।
তখন এমনকি মুসলমানদের নাম-নিশানাও মুছে ফেলতে প্রাচীন ‘আরাকান’ প্রদেশ নামটি পরিবর্তন করে রাখাইন অর্থাৎ মগ বৌদ্ধদের নিজেদের স্বর্গরাজ্য বানাতে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় ‘রাখাইন স্টেট’। তাদেরকে ভোটাধিকার ও নাগরিকত্বের পরিচয়, সনদপত্র, ধর্মকর্ম পালনসহ সবধরনের মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এহেন নানামুখী বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করার কারণে ৩ যুগ আগে আরাকানে যেখানে প্রায় ২০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক ছিল, সেখানে বর্তমানে তাদেরকে এর অর্ধেকেরও নিচে নামিয়ে আনা ‘সম্ভব’ হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবেই। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ছাড়াও এ যাবত পৃথিবীর প্রায় ৩০টি দেশে পালিয়ে আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, রোহিঙ্গারা সারাবিশ্বের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভাগ্যাহত জনগোষ্ঠী।
অতীতে ৫০ বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার আমলে রোহিঙ্গা মুসলমানরা দলন-পীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ, উচ্ছেদের শিকার হলেও বর্তমানে অং সান সুচি’র তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের বাতাবরণে আরও অত্যধিক ভয়াবহ মাত্রায় নির্মূল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, বিশেষত গত অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই। বর্তমানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, নারীদের ধর্ষণ, শিশুদের বলাৎকার করে খুনের মাধ্যমে তাদেরকে বিতাড়নের তান্ডব গত ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং ইতিহাসের পৈশাচিকতম। অংসান সুচি’র নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক প্রবল চাপ সৃষ্টির দাবি উঠেছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বর্বরতম গণহত্যার বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্বে বিবেকবান মানুষ স্তম্ভিত ও বিক্ষুব্ধ হলেও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক মহল এখন পর্যন্ত বলতে গেলে নির্বিকার।
এদিকে মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আরাকান প্রদেশে গ্রামের পর গ্রাম, পাড়ার পর পাড়া, মহল্লায় সীমাহীন তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের সেনাবাহিনী, বিজিপি, পুলিশ, স্থানীয় সরকার ও মগবৌদ্ধ। সেখানে চলছে মুসলমানবিরোধী চরম এক উগ্রবাদই শুধু নয়; নারকীয় হত্যালীলা। গত ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে আরও বর্ধিত মাত্রায় পরিচালনা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ বা নির্মূল অভিযান। অতীতে ‘অপারেশন পীয়ে থায়ে’ পরিচালিত হলেও এবারের সুচির শাসকগোষ্ঠীর পরিচালিত অভিযানের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। উপরোক্ত যৌথ বাহিনীর তান্ডবের শিকার রোহিঙ্গা পাড়াগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানের বাড়িঘর পেট্রোল কেরোসিন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ঘর ছেড়ে প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও সেই আগুনের লেলিহান শিখার ওপর ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের, এমনকি শিশুদেরও। বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠছে চরম উগ্র মগবৌদ্ধ, ভিক্ষুরা ও সেনা-পুলিশ-বিজিপি। আগুন দেয়ার আগে অনেক বাড়িঘরে রোহিঙ্গাদের অর্থ-সম্পদ লুটপাট চলছে। নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে আক্রমণকারীরা ধর্ষণ করছে রোহিঙ্গা নারীদের। পালানোর সময়ও পথে-ঘাটে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন শত শত নারী। কিশোরীদের আচমকা ধরে নিয়ে যাচ্ছে মা-বাবার সামনে থেকেই। বাধা দিতে গেলেই নিরপরাধ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মারছে। নির্বিচার নিধনযজ্ঞ থেকে প্রাণ ও ইজ্জত-আব্রু রক্ষার জন্য রোহিঙ্গারা দৌড়ে পালাচ্ছে আরাকানের মংডু, বুচিদংসহ বিভিন্ন জায়গায় গভীর বন-জঙ্গল ও পাহাড়ের দিকে। কিন্তু সেখানেও বর্মী সেনারা হেলিকপ্টার যোগে অভিযান চালিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ছে। টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়িতে এ পর্যন্ত জীবন নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ অথবা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত, পঙ্গু অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের যারা এখনও আসতে পারেনি তাদের অনেকেই একই রকম আহত কিংবা পঙ্গু। আরাকানের ঘরে ঘরে অর্থাৎ ‘খানা তল্লাশি’ চালিয়ে ১০ বছরের বেশি বয়সী ছেলেদের খুন করছে বর্মী যৌথ বাহিনী ও মগবৌদ্ধরা। একই পরিবারের সদস্যদের সামনেই অনেককে জবাই করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ জীবনবাজি রেখে পালিয়ে এসেছেন। খুন-ধর্ষণের ভয়াবহতায় বিশেষত নারী ও শিশুদের মাঝে এখন শুধুই বোবাকান্না গুমরে উঠছে।
যে অজুহাতে সূত্রপাত
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, অতীতে ১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালের মতো এবারও কোন একটি উছিলা বা অজুহাতকে পুঁজি করেই আরাকান রাজ্যজুড়ে একে একে রোহিঙ্গা নির্মূলের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠী ও উগ্র মগবৌদ্ধরা। এক্ষেত্রে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো হয় বিগত অক্টোবর মাসের প্রথম দিকের একটি ঘটনাকে। গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩টি সীমান্ত চৌকিতে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। আর সেই হামলায় জড়িতদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চলতি নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ নিরীহ সাধারণ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তাদেরকে সমূলে উচ্ছেদের লক্ষ্যে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আরাকান রাজ্যের গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় পৈশাচিক কায়দায় নাম না জানা আরেক ‘অভিযান’ শুরু হয়। দফায় দফায় নারকীয় হামলাকারীদের কবল থেকে নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। এহেন চরম বিরূপ পরিস্থিতির মুখে দিশেহারা হয়ে বর্মী রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাস্তুচ্যুত হয়ে আরাকানের পাহাড়ে-পর্বতে বন-জঙ্গলে আত্মগোপন করে। এতেও টিকতে পারছে না বর্মী সেনাদের অবিরাম হেলিকপ্টার আক্রমণে গুলি বর্ষণের মুখে। বন-জঙ্গল বা পাহাড়ে আর বাড়িঘরে দেয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে ইতোমধ্যে মারা পড়েছে শত শত নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হয়েছে হাজার হাজার। ঘরবাড়ি ছেড়ে সপরিবারে প্রাণভয়ে দুর্গম পথ পেরিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরাকান এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার-বান্দরবানের সীমান্তের কাছাকাছি কয়েক শ’ পয়েন্টে এসে জড়ো হয়েছে। জঙ্গলে আশ্রয় খুঁজছে অজস্র। এভাবে বসতঘর থেকে উৎপাটিতদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তারই ক্ষুদ্র অংশমাত্র। যাদের হিসাব তৈরি না হলেও প্রশাসনিক সূত্রগুলো বলছে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা প্রায় ৬ হাজার, টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন আশ্রিত প্রায় সোয়া ১ হাজার।
আরাকান তথা রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর শাসকগোষ্ঠী ও রাখাইন বৌদ্ধ তথা মগদের যে বর্বরতা চলছে তাতে আধুনিক যুগে এসে মানবসভ্যতার কদর্য চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে। ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার বলি হচ্ছে অসহায় নারী ও অবোধ শিশু। সেখানে সেনা ও বিজিপি-পুলিশী এবং মগ সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে নারী শিশুসহ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। প্রতিনিয়তই চলছে হরেক কায়দায় হত্যা ও নিপীড়নের স্টিম রোলার। যার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো, রোহিঙ্গা মুসলমানদের স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করে সেখানে চিরকালের জন্য একচ্ছত্র মগের মুল্লুক কায়েম করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।