নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আজকাল ওয়ানডে ম্যাচে ২৬০ রান তাড়া করা মামুলি ব্যাপারই বটে। ম্যানচেস্টারে সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে সেই সহজ কাজটিকেই বেশ জটিল করে তুলেছিল ভারত। হার যখন চোখ রাঙ্গাচ্ছিল তখন সাবধানী ব্যাটিংয়ের পরিবর্তে, পাল্টা আক্রমণে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পান্ত। এই দুই ড্যাশিং ব্যাটসম্যানের কাঁধে চেপেই গত পরশু ৪৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় সফরকারীরা । টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিল রাহুল দ্রাবিড়ের শীর্ষ্যরা।
ওভালে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের রাজকীয় জয় পায় ভারত। লর্ডসে পরের ম্যাচেই সফরকারীদের ১০০ রানে বিধ্বস্ত করে দারুন প্রতিশোধ নেয় ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচেও বাকি দুই ম্যাচের মতন টস ভাগ্যে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিধান্ত নেয় সফকারী অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকে পিচের সহায়তায় দারুণ সুইং পেতে থাকে ভারতীয় পেসাররা। এদিন শূন্য রানে জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটকে ফিরিয়ে দিয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জাসপ্রীত বুমরাহ’র জায়গায় সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ সিরাজ। জেসন রয় ও বেন স্টোকসের জুটি যখন দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল তখন এ’দুজনকে ফিরিয়ে দেন অলরাউন্ডার হার্দিক। এরপর স্বাগতিক কাপ্তান জস বাটলার ও মঈন আলী ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন। এই জুটি যোগ করে ৭৫ রান। ৩৪ রান করা মঈনকে স্টাম্প করে জাদেজা সেই যুগলবন্ধনে ছেদ আনেন। লিভিংস্টোন ও বাটলারকে একই ওভারে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের থেকে ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টেনে নেন হার্দিক। সফরকারী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ৪৫.৫ ওভারেই ২৫৯ রানে অলআউট হয়।
জবাব দিতে নেমে আগের ম্যাচের মতন এদিনও রিচ টপলির বোলিং তোপে নাজেহাল হয় ভারতীয়দের টপ অর্ডার। এই পেসার ধাওয়ানকে ফেরান ১ রানে। রোহিত ও ভিরাট দুইজনই এই বাঁহাতির আগুনে কাটা পরেন ১৭ রান করে। ওভারটনের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পিছনে সুরিয়াকুমার ক্যাচ দিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ স্বাগতিকদের দিকে চলে আসে। আর তখনই ধুঁকতে থাকা ভারতের হাল ধরেন পান্ত ও পান্ডিয়া। নেমেই পাল্টা আক্রমণে ইংলিশ বোলারদের শাষাতে থাকেন হার্দিক। ৪৩ বলে পঞ্চাশের দেখা পাওয়া এই অলরাউন্ডার পরের ৮ বলে করেন আরও ২১ রান করে আউট হন কার্সের বলে। কিন্তু ততক্ষণে একই ম্যাচে দ্বিতীয় বারের মতো দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে শুরুতে ধীরে চলা পান্থের ৭১ বল খেলতে হয় ৫০ ছুঁতে। হার্দিক আউট হবার সময় তার রান ৭৭, খেলেছিলেন ৮৮ বল। কিন্তু এরপর ইংলিশদের আর কোন সুযোগ না দিয়ে ও সঙ্গী জাদেজাকে দর্শক বানিয়ে একাই ম্যাচ বের করে আনলেন পান্ত। ১০৬ বলে ওডিআই ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতন তিন অঙ্কের দেখা পান। ১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ বলে ১২৫ রানে অপারাজিত থেকে বাগিয়ে নেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার। আর ৩ ম্যাচে ১০০ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হার্দিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।