নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান সেমিফাইনালের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি আরেকবার বলছি। ফ্রেড কার্লি।’ মৌসুমের সেরা টাইমিং যুক্তরাষ্ট্রের এই স্প্রিন্টারের। হিটেও দৌড়েছেন ৯.৭৯ সেকেন্ড সময়ে। যে দৌড় দেখে জর্ডানের মনে হয়েছে কার্লি চাইলে আরও দ্রুত শেষ করতে পারতেন। তাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জর্ডানের বাজির ঘোড়া ছিলেন কার্লিই। সে সঙ্গে আরেকটি ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন জর্ডান। আরও একবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ- তিনটি পদকই পাবে যুক্তরাষ্ট্র।
জর্ডানের দুটি আশাই পূরণ হয়েছে। গতপরশু রাতে ওরিগনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেরা তিনই যুক্তরাষ্ট্রের। আর স্বদেশি মার্ভিন ব্র্যাসি ও ট্রেভন ব্রোমেলকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছেন টোকিও অলিম্পিকের রুপাজয়ী কার্লি। অলিম্পিকের সোনাজয়ী ইতালির মার্চেল ইয়াকবস সেমিফাইনালে উঠলেও চোটের কারণে আর নামেননি ট্র্যাকে।
ফেবারিটের মতোই শেষ করেছেন কার্লি। প্রথম ৯৫ মিটার ব্র্যাসির পেছনে থাকলেও শেষ মুহূর্তে টপকে দৌড় শেষ করেছেন ৯.৮৬ সেকেন্ডে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্র্যাসি ও ব্রমেলের সময় খালি চোখে সমান—৯.৮৮ সেকেন্ড। ফাইনালের আটজনের মধ্যে আরও একজন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের। ২০১৯ দোহা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনাজয়ী কোলম্যান। ১০.০১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান হয়েছেন ষষ্ঠ।
কোলম্যানকে নিয়ে অবশ্য কেউ আর ভাবতে যায়নি। ৩১ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিনসুইপ নিয়েই ব্যস্ত সবাই। ১৯৯১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কার্ল লুইস, লিরয় বারেল এবং ডেনিস মিচেল যুক্তরাষ্ট্রকে অ্যাথলেটিকসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টের তিনটি পদকই এনে দিয়েছিলেন। ১৯৮৩ সালেও ১০০ মিটারের তিনটি পদক যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছিল। সেবারও সোনা জিতেছিলেন কিংবদন্তি কার্ল লুইস। রুপা ও ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন ক্যালভিন স্মিথ ও এমিট কিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।