Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে নদীভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে ৪ সপ্তাহে প্রায় ১২ শত বাড়ী নদী গর্ভে

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ২:৩৪ পিএম

ফরিদপুর ৯ উপজেলা সদরের পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, মধুমতি, গড়াই নদীর বন্যার পানি কমতে শুরু করছে। কমেনি নদী ভাঙ্গন। গত ৪ সপ্তাহে শুধু ফরিদপুর সদর গোলডাঙী এলাকার প্রায় ১২'শ, বাড়ী ঘর ভেঙ্গে নদীর বুকে বিলিন হয়ে গেছে বলে এলাকার বিশিষ্ট জনরা ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। সরেজমিন রবিবার (১৭ জুলাই) এই প্রতিনিধি ভাঙ্গনের তীব্রতা পরিদর্শনে যান।

সদর থানার গোলডাঙী এলাকার উস্তাডাঙী এলাকায় ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কোন ভাবেই থামছে না নদী ভাঙ্গন।

নদী ভাঙ্গন নিয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা বলেন,শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মুজিবর রহমান। তিনি রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বলেন, অপরিকল্পিত অবস্হায় নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করলে সরকারে টাকা এবং এলাকাবাসীর বাড়ী ঘর ফসলি জমি, ফসল, স্কুল মাদ্রাসা, সরকারি রাস্তা সবই জলে যাবে।

যতো টাকাই ভাঙ্গনের পিছে খরচ করুক কোন কাজে আসবে না। ব্যবসায়ী মুজিবর আরো বলেন, গত ৪ সপ্তাহহে টানা নদী ভাঙ্গনে গোলডাঙীর নামায় বা ভাটিতে উস্তাডাঙীর প্রায় ১২ শত বাড়ী ঘর নদী ভেঙ্গে চলে গেছে।

ঝু্কিতে আছে এলাকার সরকারি ও বেরসরকারী দুটি স্কুল, একটি মসজিদ,সরকারি রাস্তা এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাকের নিজ বাড়ীটিও। গোলডাঙীর বৃহওর ব্রীজটিও কম ঝুঁকিতে নেই।

ভাঙ্গনের বিষয় কথা হয় নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট ভাটা ব্যবসায়ী হাজী মোফাজ্জেল মিয়ার সাথে, তিনি শনিবার ( জুলাই) ইনকিলাবকে জানান, আমি প্রতি বছর নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে থাকি।

আপতকালীন বা জরুরী অবস্হায় ভাঙ্গন ঠেকাতে কর্তৃিপক্ষ কাজ করতে বললে আমি নিজের টাকায় কাজ করে বিল সাবমিট করি। কিন্ত সংশ্লিষ্ট অফিস সময় মত বিল পরিশোধ করেন না। এটা ভাঙ্গনের চেয়েও বড় কস্ট। তিনি আরো বলেন,

নদী ভাঙ্গনের শিকার আমরাই এলাকা, তাই নিজের পকেটের টাকা অগ্রীম খরচ করে পাউবোর কাজ বাকিতে করি।

কিন্ত বিল চাইতে গেলে তারা নানান বাহানা করেন। এ কারনে ভাঙ্গন নিয়া মাথা ঘামাই না। গত এক বছর আগের কয়েক লাখ টাকার বিল আমি এখনও পাইনি।

পাউবোর কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করলে তারা ইনকিলাবকে বলেন মন্ত্রণালয় থেকো বিল না ছাড়লে আমরা কি করবো। তবে সকলের দাবী আপতকালীন বিলের ব্যবস্হা করাটা খুবই জরুরী।

বিল না পেয়ে ঠিাকাদারও নাখোশ।যার কারন ভাঙ্গের আরো বেশী বাড়ছে।

ভাঙ্গনের বিষয় ইনকিলাবের সাথে কথা হয়, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে। তিনি ইনকিলাবকে বলেন আমি পরিদর্শনে গিয়ে জরুরী ভাবে ব্যবস্হা গ্রহন করবো। পাউবোর কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদার দুই পক্ষের সাথেই কথা বলবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ