নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের দুই ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা ছিল বেশ প্রবলভাবে। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওডিআইতে খুব কাছে গিয়েও জয়বঞ্চিত থাকতে হল স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৬১ রানের টার্গেটে বীরোচিত ব্যাটিং করেও ১ রানের আক্ষেপে হৃদয় পুড়েছে আইরিশদের। স্বাগতিকদের হয়ে তিন অংকের ছোঁয়া পান পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর।
ডাবলাইন টসে জিতে ব্যটিংয়ের সিধান্ত নেন কিউই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক টম ল্যাথাম। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৬০ রানের বিশাল পুঁজি পায় সফকারীরা। মার্টিন গাপটিল ১১৫ ও হ্যানরি নিকোলস খেলেন ৫৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে। তবে শেষের দিকে মিডল ওর্ডার ব্যাটসম্যান গ্ল্যান ফিলিপসের খেলা ৩০ বলে বিদ্যুৎ গতির ৪৭ রানের কার্যকরী ইনিংসটিও অসাধারণ ভূমিকা রাখে কিউইদের এই দলীয় পাহাড়সম রানে। স্বাগতিকদের হয়ে জসোয়া লিটল ১০ ওভারে ২ উইকেট পেলেও খরচ করেছেন ৮৪ রান। বিশাল রান ছোঁয়ার লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আইরিশরা হারায় কাপ্তান অ্যান্ডি বলবার্নির মূল্যবান উইকেট। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন যখন ফিরে যান তখনও ১০ ওভারের কোটা ফুরায়নি, আর দলিয় সংগ্রহ কেবল ৬২। এরপরই টেক্সটরকে নিয়ে উইকেট না হারিয়ে রান বাড়ানোর কাজ করে যান স্টার্লিং। এই দুজনের যুগলবন্দীতে তৃতীয় উইকেটে আসে ১৫০ বলে ১৭৯ রান।
স্টার্লিংকে আউট করে এই পার্টানরশীপে ছেদ আনেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি। ৩৫ তম ওভারে ফিরে যাওয়ার আগে এই ড্যাশিং ওপেনার ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় খেলে যান ১০৩ বলে ১২০ রানের এক নান্দনিক ইনিংস। তখন দারুণভাবেই ম্যাচ জিতার রেসে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু আরেক প্রানে টেক্টর ছিল অবিচল। শেষ ৬০ বলে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৮২ রান, হাতেও ছিল ৫ উইকেট। ১০৮ রান করে টেক্টর ৪৪ ওভারের সময় ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হলে ম্যাচ কিউইদের দিকে হেলে যায়। সেন্টনারের বলে বোল্ড হবার আগে টেক্টর তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক। শেষ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ১০ রান, আর শেষ বলে সেই সমীকরণ এসে দাড়াই ২ রানের। কিন্তু বাই থেকে কেবল ১ রান আসলে শেষপর্যন্ত ৯ উইকেটে ৩৫৯ রানেই থামে আইরিশদের তরী। কখনো ১ রানের আক্ষেপ কত বড় হয় তাই যেন টের পেল তারা। ম্যাচ শেষ আইরিশ অধিনায়ক বলবার্নি বলেন, ‘এটা অসাধারণ একটা ম্যাচ। যদিও আমাদের জন্য হজম করাটা একটু কঠিন হবে তাও বলছি ম্যাচটা ছিল চমৎকার। এই দুটা ছিল আমার দেখা সেরা শতক।’
এই সিরিজের রেশ অনেকদিন থাকবে। তিনটা ম্যাচেই জইয়বঞ্চিত থাকর পরও আইরিশ ক্রিকেট মনে রাখবে এই অসাধারণ সিরিজ। এই সাহসী ক্রিকেটই নিঃসন্দেহে তাদের আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।