পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে কোন গণতন্ত্র নেই, একজন ব্যক্তি দেশ চালাচ্ছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘জাতীয় পার্টি ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারো করার কিছু ছিলো না। সরকার এবং প্রশাসনের প্রভাব ছিলো সেই নির্বাচনে। ২০২৩ সালেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব; কর্তত্ববাদী শাসনে ফেয়ার নির্বাচন হবে না।
তার মতে, সবাই মিলে বসে একটা সমাধানে আসা প্রয়োজন। জিএম কাদের জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেহেতু বিএনপিও অংশ নিয়েছিলো তাই তাদের আশা ছিলো নির্বাচন কিছুটা হলেও সুষ্ঠু হবে। কিন্তু ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে সরকার ও প্রশাসন প্রভাব বিস্তার করেছিলো।
জিএম কাদেরের কাছে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ একই রকম দল। তার মতে, কার্যক্রমের দিক দিয়ে তাদের কোন পার্থক্য নেই। দুর্নীতি, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দুই দলই করেছে। জাতীয় পার্টি টিকে থাকার সংগ্রাম করছে। তিনি বলেন, টিকে থাকতে হলে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
তিনি মনে করেন, জাতীয় পার্টির আমলে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং দলীয়করণ হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে বিচার বিভাগও সরকারের অধীনে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন কিনা এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, তার দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলে নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তার দল।
জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা কঠিন। কারণ মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে। বিরোধী দলকে হিংসাত্মকভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে। স্পেস না দিলে লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্দোলনে এলেও লাভ হবে না। ২০১৪ র পর সেই পরিস্থিতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০২৩ এর পর এই রাজনীতি থাকবে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ থেকে যায় বলে জানান তিনি। দেশে গণতন্ত্র নেই, এমনকি রাজনীতি নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। দেশে এখন এককেন্দ্রিক শাসন চলছে।
তিনি মনে করেন, কেবল ভারত বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হল নতজানুমূলক। যে দেশ যেটা যেভাবে চাচ্ছে সেটা মেনে নিচ্ছে সরকার। কথা বলার সময় একটা বললে কাজের ক্ষেত্রে সেটা করছে না। তিনি বলেন, আমরা এবারের বাজেটে ১৬ লাখ কোটি টাকা ঋণের উল্লেখ আছে। যারা ঋণ দিচ্ছে, তাদের শর্ত মেনে কাজ করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, সুশাসনের অভাবে দিক থেকে শীর্ষ বাংলাদেশ। তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচনের পর দু একটি দল থাকবে না বা হয়ত নাম থাকবে, কিছু নেতা থাকবে, শেকড় থাকবে না। যে হেরে যাবে তারা রাজনীতিতে আর টিকবে না।
হেরে যাওয়া দলের সাথে জাতীয় পার্টি থাকলে তারাও বিলীন হয়ে যাবে বলে মনে করেন জিএম কাদের। সরকার যেকোনভাবে জেতার চেষ্টা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আলোচনার সবশেষে তিনি বলেন, বর্তমান কাঠামোতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।