পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো অন্য কিছু শক্তি বাংলাদেশে তাদের পছন্দের একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মরণে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশে এখন রিজিম চেঞ্জ বা ক্ষমতা বদলের খেলা চলছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আওয়ামী লীগকে সাবধান করে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে মূল কারণ ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। এর দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। সেই ঘটনা আর না ঘটুক নিশ্চই আমরা চাইবো। কিন্তু চারিদিকের যে ষড়যন্ত্র আমরা দেখছি, যাদের নিয়ে তোষামোদ করছি, যাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছি; তা কিন্তু তারা ঘটাবে এবং সেটি হবে অত্যন্ত নৃশংস।
রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপট এখনো আছে। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ১৪ দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, মৌলবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করলে পস্তাতে হবে। দেশে এখন মৌলবাদীদের নব-উত্থান হয়েছে। রাস্তায় বের হলে মনে হয়, বাংলাদেশে নয়, আফগানিস্তানের পথ দিয়ে হাঁটছি।
আলোচনা সভায় মূলপত্র উত্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সংসদে ধর্মনিরপেক্ষতার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার থাকবে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা তাদের ধর্ম পালন করবে। তাদের কেউ বাধা দিতে পারবে না।’ আমাদের আপত্তি হলো শুধু এই যে, ধর্মকে কেউ রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।
সভা পরিচালনা করেন দলটির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।