Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি চরমে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২২, ১:১২ পিএম

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। সড়কপথে ‘গলাকাটা’ ভাড়া, যানজট ভোগান্তির জন্য ট্রেনযাত্রায় স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে উত্তরাঞ্চলের ট্রেনের যাত্রীদের।

নীলফামারীর চিলহাটী থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা। সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমলাপুরেই আসেনি নীলসাগর এক্সপ্রেস। কমলাপুর স্টেশনের স্ক্রিনে দেখা যায়- চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিলম্বে ছাড়বে। কিন্তু কতটা বিলম্ব হবে সেটা জানানো হয়নি স্ক্রিনে। তবে একটু পর পর মাইকে ঘোষণা হচ্ছে- নীলসাগর এক্সপ্রেসের কেউ যাত্রা বাতিল করতে চাইলে পাঁচ নম্বর কাউন্টারে এসে টিকিট ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিতে পারবেন। গতকালও ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যায় নীলসাগর এক্সপ্রেস।

এদিকে দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন তিলকপুর স্টেশনে পৌঁছালে দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে যান। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিলকপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে সেখানে রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়েছে। পাওয়ার বগিসহ ৫ বগি রেখেই বাকি বগি নিয়ে সান্তাহার পৌঁছেছে ট্রেনটি। লাইনচ্যুত বগি দুটি লাইনে তোলার কাজ চলছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে আরও কিছক্ষণ সময় লাগবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

কমলাপুর স্টেশনের স্ক্রিনে দেখা যায়- একতা এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় ১০টা ১০ মিনিট থাকলে বিলম্ব হবে লেখা আছে। ছাড়ার সম্ভব্য সময় কখন তা জানানো হয়নি। স্টেশন কর্মর্তারা বলছেন, নীলসাগর গতকাল (শুক্রবার) অনেক দেরিতে স্টেশন ছেড়েছিল। এ কারণে আসতে দেরি হবে। তবে সেটা কখন আসবে এখনই বলা যাচ্ছে না। একতা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে।

এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে জীবিকার টানে ফের ইট-পাথরের শহরে আসছে মানুষ। কমলাপুর রেলস্টেশনসহ সব পথেই তাই রাজধানী ফেরা মানুষের স্রোত। পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মব্যস্ত শহরে ফিরছেন সবাই। যদিও ১২ তারিখ মঙ্গলবার অফিস খুলেছে, তারপরেও অনেকেই দুই দিন ছুটি ১৫-১৬ তারিখে কর্মস্থলে ফিরছে বেশির ভাগ মানুষ। তাই শুক্র ও শনিবারের ট্রেনে যাত্রী চাপ বেশি।

ঢাকায় ফেরা অনেক যাত্রী জানিয়েছেন, গ্রামে যাওয়ার মতো ফেরার পথেও ছিল টিকিট সংকট। তাই বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে অনেককেই। ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে শুরু শেষ মাথা পর্যন্ত তীল ধারণের ঠাঁই নেই উত্তরাঞ্চলে আসা ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ