পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হতে পারে। সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে রেলওয়ের বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে কবে থেকে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে এবং সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। গতকাল শুক্রবার মুন্সিগঞ্জে মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতুতে রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা আছে। সময় মত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। এ সময় তিনি বিভিন্ন অংশের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা, যশোর, দর্শনা, বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে, ফলে তা মংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে। সেতুতে রেললাইন বসানোর সময় কম্পন এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলপথ মন্ত্রী উল্লেখ করেন এ বিষয়ে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা সমস্ত কিছু দেখে সম্ভাব্য সমাধান করবেন।
এ সময় পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ছয়মাস সময় লাগবে। এ সময় আমরা মনিটর করবো ভাইব্রেশনে (সড়কপথে যান চলালের) কোনো প্রভাব পড়ে কিনা। এজন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের কোনো প্রভাব থাকবে না। পরীক্ষা করে আমরা দেখবো যে আসলে কোনো প্রভাব আছে কিনা।
প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, চীনে শুরু হয়েছে ৫ ধরনের কোচ নির্মাণ। অত্যাধুনিক স্টিলে তৈরি এসব কোচে কোনো ঝাঁকুনি থাকবে না, আর ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ৩২টি কোচ প্রথম চালানে দেশে আসবে। একটা ট্রেন পরিচালনার জন্য যতগুলো কোচ দরকার, সেগুলো আশা করি আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে আমরা পেয়ে যাবো।
প্রকল্প পরিদর্শনের সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ কনসালটেন্সি সুপারভিশন সার্ভিসের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।