Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রশ্ন : আমার সমর্থিত সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীর জন্য চাঁদা তুলে টাকা ব্যয় করা কি জায়েজ হবে?
উত্তর : নিঃশর্তভাবে জায়েজ হবে না। শর্ত মেনে জায়েজ হতে পারে। শর্তগুলো এই : ০১. কারো অসম্মতিতে জোর করে চাঁদা নেয়া যাবে না। ০২. কেউ মনে মনে অসন্তুষ্ট হয়ে চাঁদা দিলে তা নেয়া যাবে না। ০৩. কেউ চাপে পড়ে বা ভয়ে চাঁদা দিলে তা নেয়া যাবে না। ০৪. কেউ ভবিষ্যতে অন্যায় স্বার্থ আদায়ে চাঁদা দিলে নেয়া যাবে না। ০৫. সামাজিকতা বা লজ্জায় পড়ে চাঁদা দিলেও তা নেয়া যাবে না। শুধু স্বতস্ফূর্তভাবে ব্যক্তি বা দলকে পছন্দ করার কারণে কোনো অন্যায় স্বার্থ ছাড়া কেউ চাঁদা দিলে তা গ্রহণ করা যায়। এরপরও কথা থেকে যায়, এ চাঁদা শরিয়তের আলোয় কোনো গুনাহের কাজে যেন ব্যয় না হয়। কেননা, আল্লাহ তায়ালার কাছে মানুষকে হালাল আয় এবং হালাল পথে ব্যয়Ñ এদু’টোরই হিসাব দিতে হবে। হারাম আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়া কারো পক্ষেই সেদিন সম্ভব হবে না।
প্রশ্ন : ইউটিউবে গিয়ে আয়াতুল কুরসি শুনলাম। সেখানে আমাদের আয়াতুল কুরসি পড়ার পরও আরো কিছু আয়াত আছে, এগুলো আমরা শিখিনি। তা হলে কি আমাদের আয়তুল কুরসী পড়া ভুল হচ্ছে?
উত্তর : আপনারা যে ক’টি আয়াত ‘আয়াতুল কুরসি’ হিসাবে পড়েন, এগুলোই আয়াতুল কুরসি। এর আগে-পরেও কুরআন শরিফের আয়াত আছে। কেউ যদি ওসবসহ তিলাওয়াত করে, তা হলে কোনো সমস্যা তো নেই। আয়াতুল কুরসির নিয়তে আপনার জানা অংশটুকুর পাঠই যথেষ্ট। কেউ ইচ্ছা করলে পরে আরো কয়েক আয়াত কিংবা আরো বেশি পড়তে কোনো মানা নেই। এতে বরং আলাদা তিলাওয়াতের সওয়াব পাবে। আপনার আয়াতুল কুরসি পড়া ভুল হচ্ছে না।
প্রশ্ন : বাচ্চার আকিকা দেওয়ার সময় অনেকে অনেক উপহার দিয়ে থাকেন এগুলো গ্রহণ করা কি জায়েজ হবে?
উত্তর : আকীকা করা সুন্নত। যার জন্য সম্ভব নয়, তার বেলা মুস্তাহাব। করলে সুন্নত আদায় হবে, না করলে কোনো গুনাহ বা ক্ষতি হবে না। এসময় কোনো অনুষ্ঠান বা উপহার বিনিময় শরীয়তে অনুমোদিত নয়। তবে, যেহেতু পশু জবাই, গোশত খাওয়া, আত্মীয়দের আসা যাওয়ার ব্যাপার আছে। তাই, অকৃত্রিম একটি অনুষ্ঠান এখানে পাওয়া যায়। এটি শরীয়ত বিরোধী নয়। কিন্তু ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া, কার্ড করা, উপহার আশা করা, পাল্টা উপহার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা ইত্যাদি অনুমোদিত নয়। সুন্নতের সীমারেখার বাইরে গিয়ে এসব বিদআতের পর্যায়েও চলে যাওয়ার আশংকা থাকে। আর নিষিদ্ধ গান-বাজনা, নারী-পুরুষ পর্দাহীনতা, অপচয় এসব পাওয়া গেলে তো গোটা অনুষ্ঠানটিই গুনাহের কাজ বলে সাব্যস্থ হয়। অতএব, আলেমগণের পরামর্শে নিখুঁত সুন্নত অনুযায়ী আকীকা দেওয়াই কাম্য। শর্তহীন, চাপহীন, বাস্তবেই আন্তরিক কোনো উপহার, হাদিয়া বা গিফট পাওয়া গেলে সেটি নাজায়েজ হবে না। তবে, মনে রাখবেন, উল্লেখিত সকল শর্ত পাওয়া গেলেই উপহার জায়েজ হবে। অন্যথায় নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ