মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন শ্রীলঙ্কার দেশত্যাগী প্রেসিডেন্ট গোতাবায় রাজাপক্ষে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তিনি দেশটিতে পৌঁছান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সউদী আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এয়ারলাইনসের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার যোগে গোতাবায়া সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। তবে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
এদিকে, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোতাবায়া দেশটিতে তাঁর ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেননি তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গোতাবায়ার সফরকে ‘ব্যক্তিগত’ নিশ্চিত করেছেন। গোতাবায়া কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বা অন্য কোনো গন্তব্য আছে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
সিঙ্গাপুরে প্রবেশের বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, রাজাপাকসেকে ব্যক্তিগত সফরে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেননি এবং তাকে কোনো আশ্রয়ও দেওয়া হয়নি। সিঙ্গাপুর সাধারণত আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে না।
বার্তা সংস্থা এপি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার মালদ্বীপ পালিয়ে যাওয়া গোতাবায়া সউদী আরব যাচ্ছেন।
বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করেই এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সউদী এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে চড়ে বসেছেন রাজাপাকসে। আর সেই বিমানটি সিঙ্গাপুর হয়ে সউদী আরবের জেদ্দা যাবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
গত মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কায় চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। গত শনিবার শত শত বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বাসভবনে হামলার পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর এদিন রাতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন গোতাবায়া। ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার তার পদত্যাগের কথা ছিল। কিন্তু এর আগে তিনি গণ-আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে একটি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান। গোতাবায়া মালদ্বীপে গেলে সে দেশে বসবাসরত শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেন। তাকে মালদ্বীপে আশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানান তারা।
শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের সুযোগ নেই। গোতাবায়া আশঙ্কা করছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এ জন্য তিনি দেশত্যাগ করেছেন। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।