নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফার সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনির ওপর থেকে দুর্নীতির মামলা তুলে নিয়েছে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত। ফলে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে দুজনকে।
ফিফা সভাপতির পদে ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করা ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা ছিল। গতকাল সুইজারল্যান্ডের বেল্লিনজোলা অঞ্চলের ফেডারেল ক্রিমিনাল কোর্ট এই মামলা থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি মিডফিল্ডার প্লাতিনিকেও একই অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়। এক সময় ফুটবলে সবচেয়ে ক্ষমতাবান দুটি পদ আগলানো এই দুজন বরাবরই তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে ব্ল্যাটার–প্লাতিনি যোগসাজশ করে ফিফা থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এই টাকাটা পেয়েছিলেন প্লাতিনি। এই ঘটনা তখন আলোড়ন তোলার পর ব্ল্যাটারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২০১৫ সালে ফিফা সভাপতির পদ ছেড়ে দেন এই সুইস। প্লাতিনির ভাবমূর্তিও ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয় এবং ব্ল্যাটারের পর ফিফা সভাপতি হওয়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, সেটিও ধুলিসাৎ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ২০১৫ সালে ফিফায় জালিয়াতি, ঘুষ ও টাকা পাচারের তদন্ত শুরুর পর এসব ঘটনা সামনে উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছিলেন ব্ল্যাটার। এরপর ব্ল্যাটার-প্লাতিনিকে আট বছরের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে অবশ্য দুজনের সাজার মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়। প্লাতিনি তখন বলেছিলেন, তার ফিফা সভাপতি হওয়ার পথ বন্ধ করতেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে ব্ল্যাটার বলেছেন, ‘আমার লড়াইটা অবিচারের বিরুদ্ধে। তাতে প্রথম খেলাটা জিতলাম।’ প্লাতিনি বলেছেন, ‘আমাকে যাঁরা ভালোবাসেন, তাদের বলতে চাই, গত সাত বছর ধরে মিথ্যাচারের পর শেষ পর্যন্ত সুবিচার পেলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।