মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা হাজারও সমস্যায় জর্জরিত। কোথাও ছাত্র থাকলেও শিক্ষকের অভাব। কোথাও বা উল্টো ঘটনা- ছাত্র নেই, শিক্ষক পড়াবেন কাকে! বিহার রাজ্যের এক অধ্যাপক ঠিক এমন অভিযোগেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে, বিবেকের দংশনে প্রায় তিন বছরের বেতন ২৪ লাখ টাকা ফেরত দিতে যান কর্তৃপক্ষকে।
বিহারের মুজাফফরপুরের নীতিশ্বর কলেজ কর্তৃপক্ষ অধ্যাপকের ফেরত দেওয়া সেই অর্থ নিতে রাজি হয়নি। ওই অধ্যাপকের নাম লাল্লন কুমার। তিনি হিন্দি ভাষা ও সাহিত্য পড়ান। তার দাবি, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা শূন্য শতাংশ। অর্থাৎ একজন ছাত্রকেও পাঠ দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি জানান, গোটা বিষয়ে চূড়ান্ত হতাশ। যখন ছাত্রই নেই, তাহলে শিক্ষক হিসেবে কাজও নেই। তবে কীসের ভিত্তিতে বেতন নেবেন তিনি! অতএব নীতিশ্বর কলেজে তার কার্যকাল ২ বছর ৯ মাসের বেতন ২৩ লাখ ৮ হাজার টাকা ফেরত দিতে চান। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এই কলেজে থেকে বদলির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদী অধ্যাপকের কথায়, এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষকতার সুযোগ না পেলে তার পেশাদার জীবনের ক্ষতি হবে। সেই কারণেই নীতিশ্বর ছেড়ে অন্য কলেজে বদলির আবেদন জানিয়েছেন। বিহারের কলেজ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপক লাল্লন কুমার।
তিনি বলেন, “আমি যখন কাজে যোগ দিই, তখন আমাকে এমন কলেজে নিয়োগ করা হয়নি, যেখানে স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের পড়ানো যায়। যাঁদের ব়্যাংকিং কম তারা তেমন পোস্টিং পেয়েছেন। এখানে (নীতিশ্বর কলেজ) তো ছাত্রদের দেখাই পাওয়া যায় না।” একাধিকবার বদলির আবদেন করলেও তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি বলেও অভিযোগ অধ্যাপকের।
যদিও মুজাফফরপুরের ওই কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ কুমারের কথায়, ‘ছাত্রদের শূন্য শতাংশ উপস্থিতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে কোভিডের কারণে গত ২ বছর পাঠদান ব্যহত হয়েছে।’ সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, নিউজ ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।