Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভারে ঘন ঘন লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠি জনজীবন

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম | আপডেট : ৫:৫৭ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২২

 বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ সাভার উপজেলাবাসী। আকাশে মেঘ জমলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। যতক্ষণ মেঘ-বৃষ্টি থাকে, ততক্ষণ বিদ্যুতের দেখা মেলে না। এর বাইরেও ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠি হয়ে পরেছে সাভার বাসী। বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের কারণে সাধারন গ্রাহক ও পোশাক কর্মীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

পোশাক শ্রমিক জোসনা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ আসে যায়। বিদ্যুৎ না থাকলে সেদিন খাওয়া, গোসল ছাড়াই অফিসে যেতে হয়। আবার দুপুরে এসে বাসায় বিদ্যুৎ না পেলে সেই না খেয়ে ও গোসল না করে অফিসের দিকে ফিরতে হয়।
জোসনা বেগমের মতো বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে পড়েছে সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের লাখ পোশাক শ্রমিকরা। খেয়ে না খেয়ে সঠিক সময়েই অফিসে উপস্থিত হতে হচ্ছে তাদের। ঘন-ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
গত ৪/৫দিন ধরে সাভার-আশুলিয়ার সব এলাকায় ঘন-ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে শ্রমিকদের সঙ্গে বিপাকে রয়েছে ছোটো কিছু পোশাক কারখানা মালিকও।
কামরুন নাহার বলেন, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কারেন্ট (বিদ্যুৎ) নেই। কারেন্ট না থাকলে তো আমরা অচল। পানি থাকে না, রান্না করা যায় না। অপেক্ষা করে চলে গেলাম অফিসে। আবার দুপুরে বাসায় এসেছি তাও একই অবস্থা। সারাদিন না খেয়ে গোসল না করেই অফিস করতে বাধ্য হইছি। এটা শুধু সোমবারের ঘটনা না গত ৪/৫ দিন থেকে এমন হচ্ছে। সকাল-দুপুর কারেন্টটুকু দিলেও তো আমরা খেয়ে অফিসে যেতে পারি ।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যত কষ্ট সব আমাদের। বেতন পাই কয় টাকা চাউলের (চাল) দামসহ সব কিছুর দাম বেশি। আমরা আরেক জেলা থেকে এখানে চাকরি করতে আসছি সব কিছু কিনে খেতে হয়, পানিও কিনে খেতে হয়। কয়েক দিন হলো বিদ্যুৎ একটু পরপর আসে যায়। রাতে গরমে ঘুমানো যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং চলছে। আকাশে একটু মেঘ আর হালকা বাতাস পেলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। দিনে অন্তত ৮/৯ বারের বেশি সময় লোডশেডিং হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়াশোনা করতে খুব কষ্ট হয়। বার বার লোডশেডিং হওয়ার ফলে লেখাপড়াও ঠিকমতো হয় না। তাই এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানান তারা।
ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. শাহজাহান কবীর বলেন, এখন কেন লোডশেডিং হচ্ছে আমরা সবাই জানি তবুও দোষটা আসছে আমাদের ওপর। এখানে আমাদেরও করার কিছু নেই। যেমন আমার ১২২ মেগাওয়াট, লোডশেডিং হচ্ছে। আমি অর্ধেকের মতো পাচ্ছি আর অর্ধেক পাচ্ছি না।
শিল্পাঞ্চলের জন্য আলাদাভাবে বিদ্যুতের বাড়তি মেগা ওয়াট দেওয়া হয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের যে চাহিদা, সেই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেলে আর কোনা সমস্যা থাকতো না। চাহিদা মতো তো পাচ্ছি না। তবে আশা করছি খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লোডশেডিং

২৮ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ