মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আটলান্টিকে নিমজ্জিত টাইটানিকের শেষ জীবিত যাত্রী ছিলেন ভারতের বাসিন্দা। নাগরিক না হলেও রুথ বেকারের জন্ম হয়েছিল ভারতেই। টাইটানিকের শেষ জীবিত যাত্রীর সঙ্গে ভারতের যোগসূত্রের এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে।
জানা গেছে, টাইটানিক হিস্ট্রি সোসাইটির একজন ইতিহাসবিদ ডন লিঞ্চ সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। ১৯৭৫ সালে তিনিই প্রথম রুথ বেকারের পরিচয় পান। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল ডুবন্ত টাইটানিকেই ছিলেন ১২ বছরের রুথ। তিনি সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। ১৯৯০ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান।
ইতিহাসবিদ ডন লিঞ্চ বলেন, ‘রুথই ছিলেন টাইটানিকের শেষ জীবিত যাত্রী যার সঙ্গে ভারতের দৃঢ় যোগসূত্র ছিল। তিনি আমেরিকান হলেও ভারতেই বড় হয়ে ওঠেন। তিনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টাইটানিক দুর্ঘটনার গোটা ঘটনা বর্ণনা করতেন। কী ভাবে ধীরে ধীরে অত বড় জাহাজে চোখের পলকে ডুবে গিয়েছিল, সে কথা তিনি বলতেন’।
রুথ বেকারের বিস্তারিত বর্ণনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে জেমস ক্যামেরন তার সিনেমার একাধিক সংলাপ তৈরি করেছিলেন। ‘রোজ’ চরিত্রটির ছেলেবেলার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন গ্লোরিয়া স্টিউওয়ার্ট। তার মুখেই রুথের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ডায়লগ হিসেবে দিয়েছিলেন পরিচালক। নিজের ৮৪ বছর বয়সে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রুথ বেকার বলেছিলেন, ‘এতগুলো বছর কেটে গেছে। এখনও ওই জাহাজের গন্ধ আমার কাছে টাটকা।’
রুথ বেকারের বাবা অ্যালেন ওলিভার বেকার ভারতে একটি মিশনারিতে কর্মরত ছিলেন। ১৮৯৯ সালে রুথের জন্ম ভারতেই। কোদাইকানালে একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করা হয় তাকে। কেবলমাত্র রুথই নয়, তার দুই ভাইবোনও ভারতেই জন্মেছিল। ১৯১২ সালের ৭ মার্চ ভারত ছেড়ে চলে যায় বেকার পরিবার। মাদ্রাজ থেকে লন্ডনে জাহাজপথে একমাসের যাত্রা করেন তারা। এরপর ১০ এপ্রিল একটি ট্রেনে চড়ে সাউথহ্যাম্পটনে পৌঁছায় বেকার পরিবার। অবশেষে ১২ এপ্রিল টাইটানিকে যাত্রা শুরু করেন রথ ও তার পরিবার। সূত্র : দ্য উইক, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।